Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

না ফেরার দেশে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করা কাউপার

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করলেন দীর্ঘদিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে। ৮৪ বছর বয়সেই পৃথিবী ছেড়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার ও আইসিসির সাবেক ম্যাচ রেফারি বব কাউপার। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

মেলবোর্নে শনিবার (১০ মে) সকালে মারা গেছেন।

১৯৬৪ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনি খেলেন ২৭ টেস্ট। ৫ সেঞ্চুরিতে ৪৬.৮৪ গড়ে রান করেন ২ হাজার ৬১ রান। অফ স্পিনে উইকেট নেন ৩৬টি।

তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমের অ্যাশেজে মেলবোর্নে ৩০৭, যা তাকে জায়গা করে দেয় রেকর্ড বইয়ে।

একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৯৯ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি। সিডনিতে তৃতীয় টেস্টে খেললেন ৬০ রানের ইনিংস। তারপরও অ্যাডিলেইডে চতুর্থ টেস্টের একাদশে জায়গা হারান তিনি। মেলবোর্নে শেষ টেস্টে একাদশে ফিরেই ওই ট্রিপল সেঞ্চুরি।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি সেটি, টেস্ট ইতিহাসের দশম। বিংশ শতাব্দীতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরিও সেটিই।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এখন পর্যন্ত ১১৭ টেস্টে একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরিও সেটি। ২০০৩ সালে পার্থে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে ম্যাথু হেইডেনের ৩৮০ রানের আগে কাউপারের ১২ ঘন্টার ওই ইনিংসটিই ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস।

৭২৭ মিনিট উইকেটে থেকে ৫৮৯ বলে ২০ চারে ইনিংসটি খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘতম টেস্ট ইনিংসের রেকর্ড হিসেবে এখনও টিকে আছে সেটি। ওই ম্যাচ ড্র করে অ্যাশেজ ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া।

কাউপারের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২৩ বছর বয়সে। স্টকব্রোকিং ও মার্চেন্ট ব্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য মাত্র ২৮ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৯ টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ৭৫.৭৮। দেশটিতে তার চেয়ে বেশি গড় আছে কেবল স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের, ৯৮.২২।

ভিক্টোরিয়ার ক্রিকেটার কাউপার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৪৭ ম্যাচে ১০ হাজার ৫৯৫ রান করেন ৫৩.৭৮ গড়ে। সেঞ্চুরি ২৬টি। হাত ঘুরিয়ে উইকেট নেন ১৮৩টি। পরবর্তীতে আইসিসির ম্যাচ রেফারি হিসেবে কাজ করেন তিনি। ক্রিকেটে তার অবদানের জন্য ২০০৩ সালে তাকে ‘মেডেল অব দা অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’ প্রদান করা হয়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ত্রিশাল জিরো পয়েন্ট-হরিরামপুর সড়কটি যেন মরণফাঁদ

না ফেরার দেশে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি করা কাউপার

প্রকাশের সময় : ০৪:১২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করলেন দীর্ঘদিন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে। ৮৪ বছর বয়সেই পৃথিবী ছেড়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার ও আইসিসির সাবেক ম্যাচ রেফারি বব কাউপার। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।

মেলবোর্নে শনিবার (১০ মে) সকালে মারা গেছেন।

১৯৬৪ থেকে ১৯৬৮ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনি খেলেন ২৭ টেস্ট। ৫ সেঞ্চুরিতে ৪৬.৮৪ গড়ে রান করেন ২ হাজার ৬১ রান। অফ স্পিনে উইকেট নেন ৩৬টি।

তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমের অ্যাশেজে মেলবোর্নে ৩০৭, যা তাকে জায়গা করে দেয় রেকর্ড বইয়ে।

একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৯৯ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি। সিডনিতে তৃতীয় টেস্টে খেললেন ৬০ রানের ইনিংস। তারপরও অ্যাডিলেইডে চতুর্থ টেস্টের একাদশে জায়গা হারান তিনি। মেলবোর্নে শেষ টেস্টে একাদশে ফিরেই ওই ট্রিপল সেঞ্চুরি।

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি সেটি, টেস্ট ইতিহাসের দশম। বিংশ শতাব্দীতে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্টে একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরিও সেটিই।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এখন পর্যন্ত ১১৭ টেস্টে একমাত্র ট্রিপল সেঞ্চুরিও সেটি। ২০০৩ সালে পার্থে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে ম্যাথু হেইডেনের ৩৮০ রানের আগে কাউপারের ১২ ঘন্টার ওই ইনিংসটিই ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস।

৭২৭ মিনিট উইকেটে থেকে ৫৮৯ বলে ২০ চারে ইনিংসটি খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘতম টেস্ট ইনিংসের রেকর্ড হিসেবে এখনও টিকে আছে সেটি। ওই ম্যাচ ড্র করে অ্যাশেজ ধরে রাখে অস্ট্রেলিয়া।

কাউপারের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২৩ বছর বয়সে। স্টকব্রোকিং ও মার্চেন্ট ব্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য মাত্র ২৮ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৯ টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ৭৫.৭৮। দেশটিতে তার চেয়ে বেশি গড় আছে কেবল স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের, ৯৮.২২।

ভিক্টোরিয়ার ক্রিকেটার কাউপার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৪৭ ম্যাচে ১০ হাজার ৫৯৫ রান করেন ৫৩.৭৮ গড়ে। সেঞ্চুরি ২৬টি। হাত ঘুরিয়ে উইকেট নেন ১৮৩টি। পরবর্তীতে আইসিসির ম্যাচ রেফারি হিসেবে কাজ করেন তিনি। ক্রিকেটে তার অবদানের জন্য ২০০৩ সালে তাকে ‘মেডেল অব দা অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’ প্রদান করা হয়।