নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি :
নরসিংদীতে ট্রাফিক কন্ট্রোলের নিয়ন্ত্রণে থাকা একদল শিক্ষার্থী একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ তিনজনকে আটক করেছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাহেপ্রতাপ মোড় এলাকায় শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গাড়িসহ আটক তিনজনকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে তুলে দেন তারা।
জেলা আনসারের কমান্ডেন্ট মো. জাহিদুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানার হরিয়ালা গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (৪০), সদর উপজেলার রাজগর ববিপারার জুরু মিয়ার ছেলে রাসেল আহমেদ (৩৫) ও প্রাইভেটকার চালক আশুগঞ্জ থানার দূর্গাপুরের নুরু মিয়ার ছেলে জুলহাস মিয়া (৩৩)।
শিক্ষার্থী ও আনসার সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মতো স্কুল-কলেজ পড়ুয়া একদল শিক্ষার্থী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর সাহেপ্রতাপ মোড়ে ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্ব পালন করছিলেন। পাশেই অবস্থান করছিলেন আনসার-ভিডিপির সদস্যরা। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ভৈরবের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটি থামালে চালক ও দুই যাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে তারা গাড়িতে তল্লাশি চালালে দুটি ব্যাগ থেকে এসব টাকা পাওয়া যায়। এ সময় পাশে থাকা আনসার সদস্যদের ডেকে আনা হয়।
এরপর বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানানো হলে একদল সেনাসদস্য ঘটনাস্থল থেকে টাকা ও গাড়িসহ তিনজনকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। দুপুর দুইটার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব সারা অভির উপস্থিতিতে এসব টাকা গণনা করা হয়। এতে দেখা যায়, সেখানে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। ওই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও টাকার উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আনসার-ভিডিপির নরসিংদী জেলা কমান্ড্যান্ট অ্যাডজুটেন্ট মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ ৩ জনকে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে আটক করেছে। টাকার উৎস ও মালিক সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এসব টাকা জেলা ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হবে। আটক তিনজনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।