নিজস্ব প্রতিবেদক :
জুলাই আন্দোলনের পৃথক হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদের মধ্যে মিরপুরে গুলিতে প্রকৌশলী সুজন মাহমুদ হত্যা মামলায় আমুকে এবং ধানমন্ডির জিগাতলায় হাবিবুল্লাহ বাহার ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি হত্যা মামলায় গোলাপকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন গত ২১ জুলাই আমির হোসেন আমুকে, সিআইডি পুলিশের আরেক পরিদর্শক ফজলুল হক খান ৩ জুলাই আবদুস সোবহান গোলাপকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন।
সুজন হত্যা মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ৫ আগস্ট বিকেলে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দিয়ে মিরপুর-২ নম্বর এলাকায় গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন সুজন মাহমুদ। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সুজনের মেজ ভাই সুলতান মাহমুদ।
আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি হত্যা মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট বিকেল পৌনে চারটার দিকে জিগাতলা মোড় বাসস্ট্যান্ডে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি। এ ঘটনায় তার সহযোদ্ধা পরিচয়ে ফাইয়াজ আহাম্মেদ রাতুল গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।