Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন নামে সংঘবদ্ধ হচ্ছে জঙ্গিরা : র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের অভ্যন্তরে অতীতে যারা জঙ্গিবাদে জড়িত ছিল তারা নতুন নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর পূর্ণ হবে। গত কয়েক বছর জঙ্গিবাদ নিষ্ক্রিয় ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবারও জঙ্গিরা দেশকে অস্থির করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাবের মূল ম্যান্ডেট হলো জঙ্গি গ্রেফতার করা। এখন পর্যন্ত দেশে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াসহ মোট ৯টি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা দেখেছি ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা করেছে জেএমবি, তখন হরকাতুল জিহাদও তৎপর ছিল। এই সংগঠনগুলোর তৎপরতা অসেক বছর ধরে কিছুটা কম ছিল। গত বছর জেএমবির স্বঘোষিত আমির উজ্জ্বল মাস্টারকে ব্যাংক ডাকাতি করার সময়ে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

তিনি বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছিলাম, জেএমবি বা হরকাতুল জিহাদের মতো সংগঠনগুলো অর্থ সংকটে ভুগছে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে নেতৃত্ব সংকট ছিল। এই পুরোনো সংগঠনগুলোতে যারা এখনো তৎপর আছে, তারা এক সঙ্গে বসে নতুন জঙ্গি সংগঠন সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যুক্ত হয়েছিল। এই সংগঠনটি আনসার আল ইসলামের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছিল। এই সংগঠনের আমিরসহ নেতৃত্ব পর্যায়ে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংগঠনটি আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, আগে জঙ্গিবাদে যারা জড়িত ছিল তারা নতুন নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজে এখনো তৎপর রয়েছে। তাদের ধরতে র‌্যাবের গোয়েন্দারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে। র‌্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে। তবে তারা দেশে হামলা বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে কাজ করছে কি না সেটি নিয়ে র‌্যাবের গোয়েন্দারা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।

কেউ রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী র‌্যাব ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দেশে যদি কেউ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করতে চায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমাল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

নতুন নামে সংঘবদ্ধ হচ্ছে জঙ্গিরা : র‌্যাব

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের অভ্যন্তরে অতীতে যারা জঙ্গিবাদে জড়িত ছিল তারা নতুন নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার ১৮ বছর পূর্ণ হবে। গত কয়েক বছর জঙ্গিবাদ নিষ্ক্রিয় ছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবারও জঙ্গিরা দেশকে অস্থির করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাবের মূল ম্যান্ডেট হলো জঙ্গি গ্রেফতার করা। এখন পর্যন্ত দেশে সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াসহ মোট ৯টি সংগঠন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমরা দেখেছি ১৭ আগস্ট দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলা করেছে জেএমবি, তখন হরকাতুল জিহাদও তৎপর ছিল। এই সংগঠনগুলোর তৎপরতা অসেক বছর ধরে কিছুটা কম ছিল। গত বছর জেএমবির স্বঘোষিত আমির উজ্জ্বল মাস্টারকে ব্যাংক ডাকাতি করার সময়ে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

তিনি বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছিলাম, জেএমবি বা হরকাতুল জিহাদের মতো সংগঠনগুলো অর্থ সংকটে ভুগছে। পাশাপাশি তাদের মধ্যে নেতৃত্ব সংকট ছিল। এই পুরোনো সংগঠনগুলোতে যারা এখনো তৎপর আছে, তারা এক সঙ্গে বসে নতুন জঙ্গি সংগঠন সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ায় যুক্ত হয়েছিল। এই সংগঠনটি আনসার আল ইসলামের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছিল। এই সংগঠনের আমিরসহ নেতৃত্ব পর্যায়ে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংগঠনটি আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, আগে জঙ্গিবাদে যারা জড়িত ছিল তারা নতুন নামে দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংঘবদ্ধ হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজে এখনো তৎপর রয়েছে। তাদের ধরতে র‌্যাবের গোয়েন্দারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে। র‌্যাবের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করছে। তবে তারা দেশে হামলা বা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে কাজ করছে কি না সেটি নিয়ে র‌্যাবের গোয়েন্দারা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে।

কেউ রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী র‌্যাব ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দেশে যদি কেউ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করতে চায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জানমাল রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব।