Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দোকানে দাঁড়িয়ে চা-মোমো বানালেন মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের চান্দামারী প্রাণনাথ হাইস্কুল মাঠের সভায় ঝাঁঝালো বক্তৃতা শেষে রাস্তার ধারে ছোট একটি চা ও মোমোর দোকানে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। দোকানে ঢুকে নিজেই চা বানাতে শুরু করে দেন তিনি।

জনসংযোগ বাড়াতে দলীয় কর্মসূচি বা প্রশাসনের কাজে গিয়ে মমতা ব্যানার্জীর এমন কাজ নতুন নয়। এটি তার পুরোনো অভ্যাস। যে কোনো বড় নেতাদের টেক্কা দিতে পারে তার এই ছকভাঙা জনসংযোগে।

সোমবার (২৬ জুন) চান্দামারীর সভা শেষে হাঁটছিলেন মমতা ব্যানার্জী। নিরাপত্তাকর্মীরা ছাড়াও তার সঙ্গে পা মেলান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা।

হাঁটতে হাঁটতেই মমতার চোখে পড়ে ছোট একটা টালির চালার চা-মোমোর দোকান। এরপর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সোজা ঢুকে পড়েন দোকানে। দোকানটিতে তখন দুই নারী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী দোকানির সঙ্গে কথা বলেন, এরপর নিজে এগিয়ে যান চা বানানোর উপকরণগুলোর দিকে। শুরু করেন চা বানানো। থালায় এক এক করে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই চায়ের কাপ সাজান। কেটলি থেকে প্রত্যেক কাপে চা ঢালেন। সবাইকেই চা পান করিয়ে তারপর নিজে চায়ের কাপে চুমুক দেন। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে মুখ্যমন্ত্রীকে খুনসুটি করতেও দেখা যায়।

দোকানের মালিক ধনমায়া লামা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারছিলাম না কী করবো। ভাবতেই পারিনি, মুখ্যমন্ত্রী আমার দোকানে আসবেন। তিনি নিজের হাতে চা বানিয়ে সবাইকে খাওয়ালেন, নিজেও খেলেন। মোমো খেয়েছেন আমার কাছ থেকে। চা ও মোমোর দামও মিটিয়ে দিয়েছেন তিনি। আমি ভীষণ খুশি মুখ্যমন্ত্রী আমার দোকানে আসায়।

দোকান থেকে বেরিয়ে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, আমি দার্জিলিং গেলে চা ও মোমো বানাই। এই এলাকায় একটি ছোট দোকান দেখলাম। ওদের উৎসাহ করার জন্য চা ও মোমো বানালাম। এছাড়া সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চা-মোমোও খাওয়া হলো। সূত্র: এনডিটিভি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দোকানে দাঁড়িয়ে চা-মোমো বানালেন মমতা

প্রকাশের সময় : ০৪:০১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের চান্দামারী প্রাণনাথ হাইস্কুল মাঠের সভায় ঝাঁঝালো বক্তৃতা শেষে রাস্তার ধারে ছোট একটি চা ও মোমোর দোকানে যান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। দোকানে ঢুকে নিজেই চা বানাতে শুরু করে দেন তিনি।

জনসংযোগ বাড়াতে দলীয় কর্মসূচি বা প্রশাসনের কাজে গিয়ে মমতা ব্যানার্জীর এমন কাজ নতুন নয়। এটি তার পুরোনো অভ্যাস। যে কোনো বড় নেতাদের টেক্কা দিতে পারে তার এই ছকভাঙা জনসংযোগে।

সোমবার (২৬ জুন) চান্দামারীর সভা শেষে হাঁটছিলেন মমতা ব্যানার্জী। নিরাপত্তাকর্মীরা ছাড়াও তার সঙ্গে পা মেলান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা।

হাঁটতে হাঁটতেই মমতার চোখে পড়ে ছোট একটা টালির চালার চা-মোমোর দোকান। এরপর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে সোজা ঢুকে পড়েন দোকানে। দোকানটিতে তখন দুই নারী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী দোকানির সঙ্গে কথা বলেন, এরপর নিজে এগিয়ে যান চা বানানোর উপকরণগুলোর দিকে। শুরু করেন চা বানানো। থালায় এক এক করে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই চায়ের কাপ সাজান। কেটলি থেকে প্রত্যেক কাপে চা ঢালেন। সবাইকেই চা পান করিয়ে তারপর নিজে চায়ের কাপে চুমুক দেন। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে মুখ্যমন্ত্রীকে খুনসুটি করতেও দেখা যায়।

দোকানের মালিক ধনমায়া লামা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পারছিলাম না কী করবো। ভাবতেই পারিনি, মুখ্যমন্ত্রী আমার দোকানে আসবেন। তিনি নিজের হাতে চা বানিয়ে সবাইকে খাওয়ালেন, নিজেও খেলেন। মোমো খেয়েছেন আমার কাছ থেকে। চা ও মোমোর দামও মিটিয়ে দিয়েছেন তিনি। আমি ভীষণ খুশি মুখ্যমন্ত্রী আমার দোকানে আসায়।

দোকান থেকে বেরিয়ে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, আমি দার্জিলিং গেলে চা ও মোমো বানাই। এই এলাকায় একটি ছোট দোকান দেখলাম। ওদের উৎসাহ করার জন্য চা ও মোমো বানালাম। এছাড়া সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চা-মোমোও খাওয়া হলো। সূত্র: এনডিটিভি।