নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রোগ্রাম শুরু করতে যাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে দেশের ১২টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) পাইলটিং ভিত্তিতে এ প্রোগ্রাম শুরু হতে যাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে চালু হতে যাওয়া ১২টি পিটিআই হলো- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, জয়দেবপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া। ডিপিএড প্রোগ্রামটি পরিচালনা করবে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির (নেপ)।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ১০ মাস মেয়াদি এ ডিপিএড প্রোগ্রাম হবে অনাবাসিক এবং বৈকালিক। বাংলাদেশের যে কোনো স্থায়ী নাগরিক এ প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ-সিজিপিএসহ (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.২৫ এবং ৫ স্কেলে ন্যূনতম ২.৮) স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন। তবে শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য নয়। নির্ধারিত ফি পরিশোধ সাপেক্ষে আগ্রহী প্রার্থীরা কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনকারীকে নেপের ডিপিএড বোর্ড আয়োজিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্ধারিত আসনে ভর্তির জন্য ৫০ নম্বরের বহুনির্বাচনি ভর্তি পরীক্ষা (বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান, সময় ৫০ মিনিট) গ্রহণ করা হবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী ভর্তির শর্ত পূরণ সাপেক্ষে পিটিআইভিত্তিক মেধাতালিকার ভিত্তিতে ভর্তি হবেন।
ডিপিএড প্রোগ্রামটিতে মোট ১২০০ নম্বরের মূল্যায়ন হবে। প্রোগ্রামটির মোট ক্রেডিট ৩৫ এবং ২টি সেমিস্টারে ১০ মাসের কার্যক্রমটি পরিচালিত হবে। এই প্রোগ্রামে তাত্ত্বিক বিষয় হিসেবে শিক্ষা পরিচিতি ও শিক্ষাদর্শন, শিশুর বিকাশ ও শিখন, শিক্ষণ পদ্ধতি-কৌশল ও শ্রেণি ব্যবস্থাপনা, শিক্ষাক্রম ও শিখন সামগ্রী, শিখন মূল্যায়ন ও ফলাবর্তন, ভাষা দক্ষতা উন্নয়ন-বাংলা ও ইংরেজি, গাণিতিক ও বৈজ্ঞানিক দক্ষতা উন্নয়ন, শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সামাজিক দক্ষতা উন্নয়ন, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ গঠন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা ও শিল্পকলা কোর্সসমূহ এবং হাতে কলমে অনুশীলনের জন্য সিমুলেশন, বিদ্যালয়ভিত্তিক অনুশীলন ও প্রতিফলনমূলক চর্চার ব্যবস্থা থাকবে।
আয়োজকরা জানান, এ প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের বহুমাত্রিকভাবে সমৃদ্ধ করবে। শিক্ষাদর্শন, শিক্ষণ কৌশল ও মূল্যায়ন কাঠামো শেখার মাধ্যমে তারা আধুনিক শিক্ষক হিসেবে দক্ষ হয়ে উঠবেন। শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা উন্নত হবে, যা ভবিষ্যৎ পেশাগত জীবনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। প্রোগ্রামটি শেষে শিক্ষার্থীরা আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্বশীল শিক্ষক হিসেবে গড়ে উঠবে, যা তাদের ক্যারিয়ার উন্নয়ন ও সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তারে সহায়ক হবে।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান।
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















