Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের প্রতিটি ক্লান্তিকালে বিএনপি হাল ধরেছে : সেলিমা রহমান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৯১ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের প্রতিটি ক্লান্তিকালে বিএনপি হাল ধরেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, আজকে বিএনপির ৩১ দফা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে বুঝাতে হবে। বিএনপি সবসময় মানুষের কল্যাণে সংস্কার করে গেছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে যতগুলো ক্লান্তিলগ্ন এসেছে, বিএনপি প্রতিটি সময় হাল ধরেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টে আমাদের যে আন্দোলন হয়েছে, বুকের রক্ত দিয়ে যারা এদেশকে মুক্ত করেছে, তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা এবং অভিনন্দন। কিন্তু, সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, তাদের বুকের রক্ত কিন্তু এখনো শুকায়নি। রাজপথ এখনো তাদের রক্তে লাল হয়ে আছে। কিন্তু, শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত সরকার এ দেশে আন্তর্জাতিক চক্র হিসেবে নানারকম মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশকে নানাভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, আজকে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ৫ আগস্ট। স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। আমরা মুক্তভাবে নিশ্বাস নিতে পারছি। এটা কিন্তু দীর্ঘ আন্দোলনের ফল ছিল। বিগত ১৫ বছর বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্যাতিত, গুম-খুনের শিকার হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারত না।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আজকে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। একটা দানবীয় সরকার দুইটা প্রজন্মকে জিয়াউর রহমানের নাম জানতে দেয়নি। এত বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করেছে কিন্তু, তার মেয়ে (শেখ হাসিনা) শেখ মুজিবের নাম একবারে তলানিতে নিয়ে গেছে।

সেলিমা রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিশুদের জন্য শিশু একাডেমি করেছেন। শিশু পার্ক করেছেন। এমন কিছু নেই, যা তিনি শিশুদের জন্য করেননি। নারী ক্ষমতায়নের সবচেয়ে বড় সংস্কারক ছিলেন জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, আজকে শিশু পার্ক নেই। শিশু একাডেমি নেই। আজকে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা অন্যের কালচার নিয়ে কাজ করেছি। একটি দানবীয় সরকার শুধুমাত্র তার নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের হাত ধরে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, মৌলিক অধিকারসহ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন সত্য। তবে সেটার সঙ্গে যারা অবদান রেখেছেন, তাদের কথাও স্মরণ করতে হবে। একজনের নেতৃত্ব দ্বারা কোনো দেশ কখনো প্রতিষ্ঠা হয়না। ভাষা আন্দোলনের শহীদ, শেরে বাংলা ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সবার মাধ্যমেই দেশ গড়ে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের পর ৫ আগস্ট আমরা আবার স্বাধীনতা পেয়েছি, এটাও দীর্ঘ আন্দোলনের ফল। শহীদ জিয়া শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে শিশুদের মেধা বিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। আর আজ লেখাপড়ার পরিবর্তে শিশু কিশোর গ্যাং নাম শোনা যায়, সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নাম শোনা যায়।

নারী ক্ষমতায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, নারী ক্ষমতায়নের সবচেয়ে বড় সংস্কারক ছিলেন জিয়াউর রহমান। গ্রাম সরকার, ফ্যামিলি প্ল্যানিং, সংসদে ৩০টি আসন, প্রাইমারিতে নারীদের নিয়োগ, পুলিশ বাহিনীতে নারীদের অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি। দানবীয় সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বেঁচে থাকার অধিকার, ভোটের অধিকার সবকিছু কেড়ে নিয়েছিল। ভারত সরকার সেই খুনীকে আশ্রয় দিয়ে দেশকে সাম্প্রদায়িক দেশ বলে প্রচারনা চালাচ্ছে, দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলছে। তাদের ষড়যন্ত্র চক্রকে রুখতে হবে। বিএনপির সাড়ে তিনবছরের সংস্কারে দেশ আত্ননির্ভরশীল হয়ে উঠেছিল। সংস্কার একবছর বা দুবছরে হয়না, সংস্কার হয় চলমান।

কলমকলির সভাপতি গোলাম কাদেরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সোহাগের সঞ্চালনায় আলোচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মো. রহমতুল্লাহ, প্রফেসর ড. আব্দুল হালিম, মশিউর রহমান আকন প্রমুখ।

আবহাওয়া

বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না : মঈন খান

দেশের প্রতিটি ক্লান্তিকালে বিএনপি হাল ধরেছে : সেলিমা রহমান

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশের প্রতিটি ক্লান্তিকালে বিএনপি হাল ধরেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, আজকে বিএনপির ৩১ দফা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে বুঝাতে হবে। বিএনপি সবসময় মানুষের কল্যাণে সংস্কার করে গেছে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, বাংলাদেশে যতগুলো ক্লান্তিলগ্ন এসেছে, বিএনপি প্রতিটি সময় হাল ধরেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিমা রহমান বলেন, জুলাই-আগস্টে আমাদের যে আন্দোলন হয়েছে, বুকের রক্ত দিয়ে যারা এদেশকে মুক্ত করেছে, তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা এবং অভিনন্দন। কিন্তু, সেই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, তাদের বুকের রক্ত কিন্তু এখনো শুকায়নি। রাজপথ এখনো তাদের রক্তে লাল হয়ে আছে। কিন্তু, শেখ হাসিনাকে নিয়ে ভারত সরকার এ দেশে আন্তর্জাতিক চক্র হিসেবে নানারকম মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশকে নানাভাবে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, আজকে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি ৫ আগস্ট। স্বৈরাচারের পতনের মধ্য দিয়ে আমরা কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছি। আমরা মুক্তভাবে নিশ্বাস নিতে পারছি। এটা কিন্তু দীর্ঘ আন্দোলনের ফল ছিল। বিগত ১৫ বছর বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্যাতিত, গুম-খুনের শিকার হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারত না।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আজকে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। একটা দানবীয় সরকার দুইটা প্রজন্মকে জিয়াউর রহমানের নাম জানতে দেয়নি। এত বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করেছে কিন্তু, তার মেয়ে (শেখ হাসিনা) শেখ মুজিবের নাম একবারে তলানিতে নিয়ে গেছে।

সেলিমা রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিশুদের জন্য শিশু একাডেমি করেছেন। শিশু পার্ক করেছেন। এমন কিছু নেই, যা তিনি শিশুদের জন্য করেননি। নারী ক্ষমতায়নের সবচেয়ে বড় সংস্কারক ছিলেন জিয়াউর রহমান।

তিনি বলেন, আজকে শিশু পার্ক নেই। শিশু একাডেমি নেই। আজকে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা অন্যের কালচার নিয়ে কাজ করেছি। একটি দানবীয় সরকার শুধুমাত্র তার নিজের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের হাত ধরে দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, মৌলিক অধিকারসহ সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিব মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন সত্য। তবে সেটার সঙ্গে যারা অবদান রেখেছেন, তাদের কথাও স্মরণ করতে হবে। একজনের নেতৃত্ব দ্বারা কোনো দেশ কখনো প্রতিষ্ঠা হয়না। ভাষা আন্দোলনের শহীদ, শেরে বাংলা ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সবার মাধ্যমেই দেশ গড়ে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের পর ৫ আগস্ট আমরা আবার স্বাধীনতা পেয়েছি, এটাও দীর্ঘ আন্দোলনের ফল। শহীদ জিয়া শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে শিশুদের মেধা বিকাশে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। আর আজ লেখাপড়ার পরিবর্তে শিশু কিশোর গ্যাং নাম শোনা যায়, সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নাম শোনা যায়।

নারী ক্ষমতায়নের ব্যাপারে তিনি বলেন, নারী ক্ষমতায়নের সবচেয়ে বড় সংস্কারক ছিলেন জিয়াউর রহমান। গ্রাম সরকার, ফ্যামিলি প্ল্যানিং, সংসদে ৩০টি আসন, প্রাইমারিতে নারীদের নিয়োগ, পুলিশ বাহিনীতে নারীদের অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি। দানবীয় সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বেঁচে থাকার অধিকার, ভোটের অধিকার সবকিছু কেড়ে নিয়েছিল। ভারত সরকার সেই খুনীকে আশ্রয় দিয়ে দেশকে সাম্প্রদায়িক দেশ বলে প্রচারনা চালাচ্ছে, দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলছে। তাদের ষড়যন্ত্র চক্রকে রুখতে হবে। বিএনপির সাড়ে তিনবছরের সংস্কারে দেশ আত্ননির্ভরশীল হয়ে উঠেছিল। সংস্কার একবছর বা দুবছরে হয়না, সংস্কার হয় চলমান।

কলমকলির সভাপতি গোলাম কাদেরের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সোহাগের সঞ্চালনায় আলোচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মো. রহমতুল্লাহ, প্রফেসর ড. আব্দুল হালিম, মশিউর রহমান আকন প্রমুখ।