নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, সবাই সরকারের কাছে টাকা পায়, কিন্তু সরকার কাউকেই টাকা দিতে পারে না। এর ফলে আগামীতে জনগণ নানান সংকটের সম্মুখীন হবে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, শামসুজ্জামান দুদুসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
মান্না বলেন, এই সরকার খুনি, ডাকাত, লুটেরা। মানুষের রক্ত খেয়ে তারা নিজেদের বাঁচানো ব্যবস্থা করছে। সব ধান্দাবাজ দিয়ে মন্ত্রী, এমপি বানায়। কোনো জিনিসের দাম কমেনি। সবাই সরকারের কাছে টাকা পায়, কাউকে টাকা দিতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুতের টাকা দিতে পারে না, আদানি, সানেম টাকা পায়, টাকা দিতে পারে না। এই সরকার নিঃস্ব সরকারের মতো। নেট ঠিকমতো চলে না, কারণ যারা নেট সার্ভিস দেয় তাদের টাকা সরকার পুরোটা দিতে পারেনি। টাকা দিতে না পারলে দেশে ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ হয়ে যেতে পারে; এমন অবস্থা চলছে।
এই সরকার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে জানিয়ে মান্না বলেন, এই সরকার এত দুর্নীতি, এত অন্যায়, এত জনগণের দুর্ভোগের কারণে হয়েছে যে আপনাদের নামে মামলা দিলে সেই মামলার নিষ্পত্তি করতে করতে সরকারের পাঁচ বছরের সময় শেষ হয়ে যাবে তবু আপনাদের মামলা শেষ হবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে মান্না বলেন, আরেকজন আছেন আওয়ামী লীগের, ডানা ঝাপটায়, কা কা করে। তিনি বলেছেন, আমরা চীনকে অনুরোধ করেছি মিয়ানমারের ব্যাপারে সামাল দিতে। তার মানে, বাংলাদেশ নিজেকে রক্ষা করতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে মান্না বলেন, গত নির্বাচনের সময় এই প্রধানমন্ত্রী সংলাপে ডেকেছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, সবার নামে মামলা আমরা কীভাবে নির্বাচন করবো? প্রধানমন্ত্রী বললেন, কতজন? মির্জা ফখরুল এত বড় লিস্ট নিয়ে গেলেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমি কালকের মধ্যে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এত বছর হয়ে গেলে কোনো ব্যবস্থা হয়নি। উলটো নেতাকর্মীদের নামে নতুন নতুন গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা অসহনীয় জীবন কাটাচ্ছেন উল্লেখ করে মান্না বলেন, গত দেড় মাসের মধ্যে একটা দলের ২০ থেকে ৩০ হাজার নেতাকর্মী জেলে নেওয়া হয়েছে। বিএনপি এতো বড় নির্যাতন, অত্যাচারের মধ্যেও তারা দাঁড়িয়ে আছে। তাদের নেতাকর্মীরা ধানের ক্ষেতে মশারি টানিয়ে ঘুমাচ্ছেন।