Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে বিপদ ধেয়ে আসছে: রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে বিপদ ধেয়ে আসছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, দেশের জনগণকে আপনারা বারবার ধোঁকা দেবেন, তাদের বন্দী করে নির্বাচন করবেন, একই দলের বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী করে নির্বাচন করবেন, আপনারা মনে করছেন জনগণ এটা বুঝবে না। জনগণ সবই বোঝে। বিএনপি ও সমমাননা দলগুলো যে আন্দোলনে রয়েছে সেই আন্দোলনে দেশের জনগণের সমর্থন রয়েছে। সুতরাং দেশে কিন্তু বিপদ ধেয়ে আসছে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, এ দুর্ভাগা জাতির রাজনীতির করুণ মৃত্যুর কথা আপনাদের বলতে চাই। সেই করুণ মৃত্যু হচ্ছে গণতন্ত্রের, ব্যক্তি স্বাধীনতার। দেশে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যে আওয়ামী লীগ ও তার কর্মী-সমর্থকরা হচ্ছে নাগরিক, আর যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে বিরোধিতা করবে তারা হচ্ছে প্রজা। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে এটা শুধু নজিরবিহীন বললেই শেষ হবে না এর মধ্যে যে নির্দয়তা, নির্মমতা নিষ্ঠুরতা এ রকম অনাচার পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যাবে না। যেমন খুশি তেমনভাবে তামাশার নির্বাচন করা হয়েছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ডামি নির্বাচনে তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে জিতিয়েছেন। যারা জিততে পারেনি তারা কিছু কিছু মুখ খুলছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা এগুলোকে পরোয়া করে না। তিনি জানেন এরা তরকারির একটু ঝোল না পেয়ে কয়েকদিন একটু চিৎকার করবে। আবার এদের হাতে কিছু ধরিয়ে দিলে এরা চুপচাপ থাকবে। হাসানুল হক ইনু শেখ হাসিনার মন্ত্রী হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি ন্যূনতম যে ভদ্রতা সেটাও তিনি রাখেননি, শুধু তার প্রধানমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কঠোর বক্তব্য দেবেন তাদেরই শেখ হাসিনা পুরস্কৃত করবেন। এটা চিন্তা করে হাসানুল হক ইনুরা এখনো এমন কথা নেই বিএনপি ও তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বলেননি। আবার আজ বলছেন, কারচুপির নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছে। তো ২০১৪ সালের এই ধরনের একটা নির্বাচন, ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছে, যে নির্বাচনে কেন্দ্রের মাঠে চতুষ্পদ জন্তু ছাড়া কিছু ছিল না, সেই নির্বাচনেও আপনি এমপি হয়ে মন্ত্রী হয়ে এমন কোনো অসভ্য শব্দ নাই যা বিএনপির বিরুদ্ধে বলেননি। তবে এখন কেন এ ধরনের কথা বলছেন?

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এবার রাজনৈতিক খেলা, নির্বাচনী খেলা তো আপনারা দেখালেন। এক দলকে বিভিন্ন দল করে আমি-ঢামি মামুদের দিয়ে যে নির্বাচন করালেন এ নির্বাচনে গোটা বিশ্ববাসী হাততালি দেয়নি মুচকি হেসেছে যে এরা মানুষ হিসেবে কথা বলেছে নাকি তাদের ভেতর অন্য কিছু আছে, অন্য কোনো সত্তা আছে তাদের। এখন রাজনীতির খেলা নাকি দেখাবে। তারা দুর্নীতির সাগরে ভাসছে, তারা নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ করবে। দুর্নীতি তো আপনাদের অঙ্গের ভূষণ, লক্ষ-কোটি টাকা পাচার করে এখন নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজনীতির খেলা হবে।

রিজভী অভিযোগ করে আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের মোট গ্রেফতার: ৪০ জনের অধীক নেতাকর্মী। মোট মামলা ২টি মোট আসামি ১৩৫ জনের অধীক নেতাকর্মী।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

দেশে বিপদ ধেয়ে আসছে: রিজভী

প্রকাশের সময় : ১০:২০:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেশে বিপদ ধেয়ে আসছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, দেশের জনগণকে আপনারা বারবার ধোঁকা দেবেন, তাদের বন্দী করে নির্বাচন করবেন, একই দলের বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী করে নির্বাচন করবেন, আপনারা মনে করছেন জনগণ এটা বুঝবে না। জনগণ সবই বোঝে। বিএনপি ও সমমাননা দলগুলো যে আন্দোলনে রয়েছে সেই আন্দোলনে দেশের জনগণের সমর্থন রয়েছে। সুতরাং দেশে কিন্তু বিপদ ধেয়ে আসছে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, এ দুর্ভাগা জাতির রাজনীতির করুণ মৃত্যুর কথা আপনাদের বলতে চাই। সেই করুণ মৃত্যু হচ্ছে গণতন্ত্রের, ব্যক্তি স্বাধীনতার। দেশে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে যে আওয়ামী লীগ ও তার কর্মী-সমর্থকরা হচ্ছে নাগরিক, আর যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে বিরোধিতা করবে তারা হচ্ছে প্রজা। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষের মৌলিক অধিকার নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে এটা শুধু নজিরবিহীন বললেই শেষ হবে না এর মধ্যে যে নির্দয়তা, নির্মমতা নিষ্ঠুরতা এ রকম অনাচার পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যাবে না। যেমন খুশি তেমনভাবে তামাশার নির্বাচন করা হয়েছে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ডামি নির্বাচনে তিনি যাকে ইচ্ছা তাকে জিতিয়েছেন। যারা জিততে পারেনি তারা কিছু কিছু মুখ খুলছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা এগুলোকে পরোয়া করে না। তিনি জানেন এরা তরকারির একটু ঝোল না পেয়ে কয়েকদিন একটু চিৎকার করবে। আবার এদের হাতে কিছু ধরিয়ে দিলে এরা চুপচাপ থাকবে। হাসানুল হক ইনু শেখ হাসিনার মন্ত্রী হয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি ন্যূনতম যে ভদ্রতা সেটাও তিনি রাখেননি, শুধু তার প্রধানমন্ত্রীকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কঠোর বক্তব্য দেবেন তাদেরই শেখ হাসিনা পুরস্কৃত করবেন। এটা চিন্তা করে হাসানুল হক ইনুরা এখনো এমন কথা নেই বিএনপি ও তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বলেননি। আবার আজ বলছেন, কারচুপির নির্বাচনে তাকে হারানো হয়েছে। তো ২০১৪ সালের এই ধরনের একটা নির্বাচন, ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হয়েছে, যে নির্বাচনে কেন্দ্রের মাঠে চতুষ্পদ জন্তু ছাড়া কিছু ছিল না, সেই নির্বাচনেও আপনি এমপি হয়ে মন্ত্রী হয়ে এমন কোনো অসভ্য শব্দ নাই যা বিএনপির বিরুদ্ধে বলেননি। তবে এখন কেন এ ধরনের কথা বলছেন?

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এবার রাজনৈতিক খেলা, নির্বাচনী খেলা তো আপনারা দেখালেন। এক দলকে বিভিন্ন দল করে আমি-ঢামি মামুদের দিয়ে যে নির্বাচন করালেন এ নির্বাচনে গোটা বিশ্ববাসী হাততালি দেয়নি মুচকি হেসেছে যে এরা মানুষ হিসেবে কথা বলেছে নাকি তাদের ভেতর অন্য কিছু আছে, অন্য কোনো সত্তা আছে তাদের। এখন রাজনীতির খেলা নাকি দেখাবে। তারা দুর্নীতির সাগরে ভাসছে, তারা নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ করবে। দুর্নীতি তো আপনাদের অঙ্গের ভূষণ, লক্ষ-কোটি টাকা পাচার করে এখন নাকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজনীতির খেলা হবে।

রিজভী অভিযোগ করে আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের মোট গ্রেফতার: ৪০ জনের অধীক নেতাকর্মী। মোট মামলা ২টি মোট আসামি ১৩৫ জনের অধীক নেতাকর্মী।