নিজস্ব প্রতিবেদক :
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার পর প্রথমবারের মতো গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর দুপুর ১টা ৪২ মিনিটে তিনি সেখানে পৌঁছান।
অফিসে প্রবেশ করার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান ফুল দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান।
সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় নিজের জন্য প্রস্তুত করা বিশেষ চেম্বারে গিয়ে দাপ্তরিক কাজ শুরু করেন।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক ও দলের মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রথম অফিস।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন– দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন ও চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। এছাড়া বগুড়া জেলা বিএনপির নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শুধু গুলশান কার্যালয়ই নয়, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়েও তারেক রহমানের জন্য আলাদা চেম্বার তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া গুলশানে পৃথক একটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে, যেখান থেকে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে এই কার্যালয়টি চালু হওয়ার পর তারেক রহমান হয় কারাগারে ছিলেন অথবা নির্বাসনে। ফলে সশরীরে এই কার্যালয়ে এটিই হতে যাচ্ছে তার প্রথম সফর। তার আগমনকে কেন্দ্র করে গুলশান কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে দেশে ফিরেন তিনি। গত দিন দিনে তিনশ’ ফিট এলাকায় সংবর্ধনা, এভারকেয়ার হাসপাতালে মাকে দেখতে যাওয়া, শেরে বাংলা নগরে বাবা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত, সাভারে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো, শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত, নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করা, ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো, শ্বশুর মাহবুব আলী ও পিলখানার শহীদ সেনা সদস্যদের কবর জিয়ারত করাসহ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















