Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে ফেরার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অনুপ্রবেশের মামলায় ভারতে কারাভোগের পর খালাস পেলেও এতদিন দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছিলেন না সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। নানা ঝক্কিঝামেলা শেষে অবশেষে পেয়েছেন ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস। ফলে নিজ দেশে ফেরার ক্ষেত্রে যে জটিলতা ছিল তা কেটে গেছে এই বিএনপি নেতার।

সোমবার (১২ জুন) বিকেলে আসামের গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের কাছ থেকে সালাউদ্দিন আহমেদ প্রতিনিধির মাধ্যমে ট্রাভেল পাস গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোহাটির বাংলাদেশ মিশনের সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, তিনি (সালাহউদ্দিন) ট্রাভেল পারমিট পেয়েছেন। গতকাল (সোমবার) তিনি এটা হাতে পেয়েছেন।

সালাহউদ্দিনের দেশে ফিরতে কোনো বাধা থাকছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমিন বলেন, বাধা থাকার কথা না। আমাদের কাজটুকু আমরা করেছি। মিশনের যে কাজ, সেটা হয়েছে। তারপরও যদি মেঘালয় সরকারের তরফ থেকে কোনো ফর্মালিটি থাকে সেটা আমাদের বিষয় না। আমাদের কাজ আমরা করেছি।

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সহকারী হাইকমিশনার বলেন, এটা ওনার সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

ট্রাভেল পাসে শর্ত দেয়া হয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে তাকে দেশে ফিরতে হবে।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সোমবার (১২ জুন) রাত ১১টার দিকে ট্রাভেল পাস পেয়েছি। এটি গত ৮ই জুন ইস্যু করা হয়েছে। ভারতীয় সরকারের কিছু প্রক্রিয়া আছে সেগুলো শেষ করে ভারতে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরবে ইনশাআল্লাহ। সেগুলো খুব বড় কোনো সমস্যা না।

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ ২০১৫ সাল থেকে ভারতের শিলংয়ে রয়েছেন। অনুপ্রবেশের দায়ে তার বিরুদ্ধে করা মামলায় খালাস পাওয়ার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সালাহউদ্দিন আহমেদ যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন।

তবে দেশে ফেরার আগে তাকে ভারত সরকারের কিছু নিয়ম পালন করতে হবে। তাছাড়া আদালতের কাগজপত্রসহ নানা আনুষঙ্গিক বিষয় বাকি রয়েছে।

দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কে ৪৯/বি নম্বর বাড়ির ২/বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুই মাস পর পাশের দেশ ভারতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে।

উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে আবার ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলংয়ের জজ কোর্টের রায়ে তিনি বেকসুর খালাস পান।

সালাউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তাকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। মেঘালয়ে যখন আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকার সময় বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশে ফেরার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

অনুপ্রবেশের মামলায় ভারতে কারাভোগের পর খালাস পেলেও এতদিন দেশে ফেরার সুযোগ পাচ্ছিলেন না সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। নানা ঝক্কিঝামেলা শেষে অবশেষে পেয়েছেন ভ্রমণ অনুমোদন বা ট্রাভেল পাস। ফলে নিজ দেশে ফেরার ক্ষেত্রে যে জটিলতা ছিল তা কেটে গেছে এই বিএনপি নেতার।

সোমবার (১২ জুন) বিকেলে আসামের গুয়াহাটিস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনারের কাছ থেকে সালাউদ্দিন আহমেদ প্রতিনিধির মাধ্যমে ট্রাভেল পাস গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোহাটির বাংলাদেশ মিশনের সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, তিনি (সালাহউদ্দিন) ট্রাভেল পারমিট পেয়েছেন। গতকাল (সোমবার) তিনি এটা হাতে পেয়েছেন।

সালাহউদ্দিনের দেশে ফিরতে কোনো বাধা থাকছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল আমিন বলেন, বাধা থাকার কথা না। আমাদের কাজটুকু আমরা করেছি। মিশনের যে কাজ, সেটা হয়েছে। তারপরও যদি মেঘালয় সরকারের তরফ থেকে কোনো ফর্মালিটি থাকে সেটা আমাদের বিষয় না। আমাদের কাজ আমরা করেছি।

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সহকারী হাইকমিশনার বলেন, এটা ওনার সিদ্ধান্তের ব্যাপার।

ট্রাভেল পাসে শর্ত দেয়া হয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে তাকে দেশে ফিরতে হবে।

সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, সোমবার (১২ জুন) রাত ১১টার দিকে ট্রাভেল পাস পেয়েছি। এটি গত ৮ই জুন ইস্যু করা হয়েছে। ভারতীয় সরকারের কিছু প্রক্রিয়া আছে সেগুলো শেষ করে ভারতে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরবে ইনশাআল্লাহ। সেগুলো খুব বড় কোনো সমস্যা না।

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ ২০১৫ সাল থেকে ভারতের শিলংয়ে রয়েছেন। অনুপ্রবেশের দায়ে তার বিরুদ্ধে করা মামলায় খালাস পাওয়ার প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সালাহউদ্দিন আহমেদ যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারবেন।

তবে দেশে ফেরার আগে তাকে ভারত সরকারের কিছু নিয়ম পালন করতে হবে। তাছাড়া আদালতের কাগজপত্রসহ নানা আনুষঙ্গিক বিষয় বাকি রয়েছে।

দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কে ৪৯/বি নম্বর বাড়ির ২/বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুই মাস পর পাশের দেশ ভারতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে।

উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে আবার ভারত সরকার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলংয়ের জজ কোর্টের রায়ে তিনি বেকসুর খালাস পান।

সালাউদ্দিন আহমদ ১৯৯১ সালে বিএনপির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। ২০০১ সালে কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তাকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল। মেঘালয়ে যখন আটক হন, তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতের জেলে থাকার সময় বিএনপি তাকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।