নিজস্ব প্রতিবেদক :
পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন ৫৩ হাজার ৩৬৮ হাজী। মোট ১৩৯টি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা। যার মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ৫৫টি। এছাড়া সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ৫৭টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইটের সংখ্যা ২৭টি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) মধ্যরাতে হজযাত্রীদের বহনকারী এয়ারলাইন্স, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, হজ অফিসের বরাতে হজ পোর্টালে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এবার হজ করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ১০৪ জন বাংলাদেশির মারা যাওয়ার খবর দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) মারা গেছেন ১ জন। সর্বশেষ মারা যাওয়া হাজীর নাম রহিমা আক্তার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫২ বছর।
এবার হজে গিয়ে সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ইন্তেকাল করেছেন ১০৪ জন হজযাত্রী। তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৭৯ জন, নারী ২৫ জন। এদের মধ্যে মক্কায় ৮৬, মদিনায় ৫, জেদ্দায় ১, মিনায় ৯, আরাফায় ২, মুজদালিফায় একজন মারা গেছেন। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, এদের ওই দেশেই দাফন করা হয়েছে।
হজ বুলেটিনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় শেষ পর্যায়ে আগত সকল হাজিগণ এখন মদিনায় অবস্থান করছেন। তারা মদিনায় রাসুল (সা.) এর রওজা মোবারক জিয়ারত ছাড়াও মসজিদে নববিতে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ ও রিয়াজুল জান্নাতে নামাজ আদায়সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণ শেষে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।
চলতি বছর হজ করতে বাংলাদেশ থেকে সৌদি যান মোট এক লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন। এসব হজযাত্রী বহন করতে মোট ফ্লাইট পরিচালনা করা হয় ৩২৫টি। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী মক্কায় যান। আগামী ২ আগস্ট হজের শেষ ফিরতি ফ্লাইট আসার কথা রয়েছে।
সৌদি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী এবার হাজিরা ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের সঙ্গে জমজমের পানি পরিবহন করতে না পারায় দেশে আসা হাজিদের জমজমের পানি বিতরণ করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি হাজিকে পাঁচ লিটার করে জমজমের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।