Dhaka সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেড় যুগ পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দীর্ঘ দেড় যুগ পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৬ মিনিটে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছান। এ সময় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় বারান্দায় এসে তিনি অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

দেশের নতুন রূপরেখা ও জাতি গঠনে প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে যার যতটুকু সামর্থ্য আছে, তাকে সে অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে। এমনকি রাস্তায় একটি ময়লা কাগজ পড়ে থাকলেও তা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।

নেতাকর্মীদের ভিড়ের কারণে রাস্তায় সৃষ্টি হওয়া যানজটের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারেক রহমান বলেন, যেহেতু আজকে আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই, তাই জনদুর্ভোগ এড়াতে আমি আপনাদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনাদের অবস্থানের কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

এসময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ফরহাদ হালিম ডোনার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।

তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষ্যে তাকে স্বাগত জানাতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নেয়।

এর আগে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান তারেক রহমান। ওই কার্যালয়ে এটিই ছিল তার প্রথম আগমন। এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এই কার্যালয় খোলা হয়।

প্রায় ১৭ বছর নির্বাসন জীবন শেষে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফেরেন তারেক রহমান। তার প্রত্যাবর্তন ঘিরে ঢাকায় লাখো নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের অভূতপূর্ব সমাবেশ হয়। ঢাকার পূর্বাচলে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে ৩০০ ফিট এলাকায় তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সারা দেশ থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা এতে অংশ নেন।

দেশে ফেরার পরের দিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। গুলশান থেকে জিয়া উদ্যান পর্যন্ত পুরো পথজুড়ে নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।

পথে পথে নেতাকর্মীদের অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। হাত নেড়ে জানান কৃতজ্ঞতা। জনস্রোত পেরিয়ে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে জিয়া উদ্যানে পৌঁছান তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বাবার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ফাতেহা পাঠ ও দোয়া–মোনাজাতে অংশ নিয়ে শহীদ জিয়ার রুহের মাগফেরাত এবং মা বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন।

জিয়া উদ্যান থেকে বেরিয়ে বিকেল ৫টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। পথজুড়ে ছিল মানুষের ঢল। ভিড়ের মধ্যে রাত ১০টার পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেন তারেক রহমান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আনুষ্ঠানিকভাবে এনসিপিতে যোগ দিয়ে মুখপাত্র হলেন আসিফ, করবেন না নির্বাচন

দেড় যুগ পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তারেক রহমান

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দীর্ঘ দেড় যুগ পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৬ মিনিটে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছান। এ সময় কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় বারান্দায় এসে তিনি অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

দেশের নতুন রূপরেখা ও জাতি গঠনে প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে যার যতটুকু সামর্থ্য আছে, তাকে সে অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করতে হবে। এমনকি রাস্তায় একটি ময়লা কাগজ পড়ে থাকলেও তা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে।

নেতাকর্মীদের ভিড়ের কারণে রাস্তায় সৃষ্টি হওয়া যানজটের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারেক রহমান বলেন, যেহেতু আজকে আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই, তাই জনদুর্ভোগ এড়াতে আমি আপনাদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনাদের অবস্থানের কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।

এসময় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ফরহাদ হালিম ডোনার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।

তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষ্যে তাকে স্বাগত জানাতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নেয়।

এর আগে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান তারেক রহমান। ওই কার্যালয়ে এটিই ছিল তার প্রথম আগমন। এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এই কার্যালয় খোলা হয়।

প্রায় ১৭ বছর নির্বাসন জীবন শেষে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে ফেরেন তারেক রহমান। তার প্রত্যাবর্তন ঘিরে ঢাকায় লাখো নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষের অভূতপূর্ব সমাবেশ হয়। ঢাকার পূর্বাচলে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে ৩০০ ফিট এলাকায় তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সারা দেশ থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা এতে অংশ নেন।

দেশে ফেরার পরের দিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন তারেক রহমান। গুলশান থেকে জিয়া উদ্যান পর্যন্ত পুরো পথজুড়ে নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।

পথে পথে নেতাকর্মীদের অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। হাত নেড়ে জানান কৃতজ্ঞতা। জনস্রোত পেরিয়ে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে জিয়া উদ্যানে পৌঁছান তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বাবার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ফাতেহা পাঠ ও দোয়া–মোনাজাতে অংশ নিয়ে শহীদ জিয়ার রুহের মাগফেরাত এবং মা বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন।

জিয়া উদ্যান থেকে বেরিয়ে বিকেল ৫টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। পথজুড়ে ছিল মানুষের ঢল। ভিড়ের মধ্যে রাত ১০টার পর জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেন তারেক রহমান।