নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আগেই সরকারকে পদত্যাগ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, সময় থাকতে পদত্যাগ করুন। আগামী তিন মাস নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অনেকবার পার পেয়েছেন এবার আর পাবেন না। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষ কিন্তু ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদদের চিনবে না। তাই পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করুন।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
রিজভী বলেন, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। যাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায় কে কত অস্ত্র নিয়ে এলো ওইটা কিন্তু তারা দেখবে না। জনগণের যে উত্তাল আন্দোলনের ঢেউ সেই ঢেউয়ের কাছে কোনো আগ্নেয়াস্ত্র টিকতে পারে না, সরকারের তৈরি করা কোনো প্রাইভেট বাহিনীও টিকতে পারবে না।
এর আগে মহিলা দলের শুক্রবারের (২৯ সেপ্টেম্বর) সমাবেশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হচ্ছে গুন্ডাদের নেতা, সন্ত্রাসীদের নেতা। সারাদেশে তারা সন্ত্রাসকেই এখন পরিপালন করছে তাদের তোষণ করছে।
বিএনপিকে ওবায়দুল কাদেরের ৩৬ দিনের আল্টিমেটাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ৩৬ দিন পর উনি কি করবেন? তারপর কি উনি উনার দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেবেন বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে? এটাই তো বোঝা যায় কাদেরের বক্তব্যের মধ্যদিয়ে।
আইনমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এ মানুষটি ১/১১ তে যখন মাইনাস ফর্মূলা প্রচেষ্টা চলেছে যখন সব প্রতিষ্ঠান ভাঙার প্রচেষ্টা চলেছে সেই সময়ে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে সবচাইতে বেশি যিনি কাজ করেছেন দুদকের আইনজীবী হিসেবে তিনি হচ্ছেন আইনমন্ত্রী। তাকে শেখ হাসিনা পছন্দ করেছেন। কারণ এ লোকটা সুচারুভাবে কীভাবে মানুষের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে হয় সেটা খুব ভালো করে জানে।
তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয় আইনমন্ত্রী অত্যন্ত নিষ্ঠুর টাইপের একজন ব্যক্তি। তার কোনো বিবেক নেই, কোনো মানবতাবোধ নেই। শেখ হাসিনার খাস পেটুয়া হিসেবে তার নীল নকশা বাস্তবায়নকারী হিসেবে কাজ করছেন। শেখ হাসিনাকে সন্তুষ্ট করার জন্য উনি কি চান তার মুখের দিকে চেয়েই তো দেশের আইন-কানুন চলছে।
দেশে প্রচলিত আইনানুযায়ী কোনো কাজ হচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি দেশে এখন বাকশালী আইন চলছে, নৌকা মার্কা আইন চলছে, বর্তমান আইনের সঙ্গে প্রচলিত আইনের কোনো মিল নেই।
এ সময় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার, নিলুফা ইয়াসমিন মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক 
























