Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন খন্দকার মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তার উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় খন্দকার মোশাররফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেন। একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর ২৮ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় বিচার চলাকালে নয়জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

খন্দকার মোশাররফ ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ দশমিক ৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। ড. খন্দকার মোশাররফ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই টাকা পাচার করেন বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় দুদক।

আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানান, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত টাকা পাচারের কোনো প্রমাণ আদালতে দিতে পারেনি। এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা। এই মামলার কারণে খন্দকার মোশাররফকে জেলে যেতে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২২ আগস্ট মানি লন্ডারিংয়ের একটি মামলা থেকে খালাস পান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম তাকে খালাস দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশের সময় : ১২:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরপর তার উপস্থিতিতে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় খন্দকার মোশাররফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মোশাররফের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেন। একই বছরের ১৪ আগস্ট দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরের বছর ২৮ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলায় বিচার চলাকালে নয়জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

খন্দকার মোশাররফ ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথ নামে যুক্তরাজ্যের লয়েড টিএসবি অফসোর প্রাইভেট ব্যাংকে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ দশমিক ৪৩ ব্রিটিশ পাউন্ড জমা করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা। ড. খন্দকার মোশাররফ ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই টাকা পাচার করেন বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় দুদক।

আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ জানান, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত টাকা পাচারের কোনো প্রমাণ আদালতে দিতে পারেনি। এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা। এই মামলার কারণে খন্দকার মোশাররফকে জেলে যেতে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২২ আগস্ট মানি লন্ডারিংয়ের একটি মামলা থেকে খালাস পান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেম তাকে খালাস দেন।