বিনোদন ডেস্ক :
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে আর জি কর হাসপাতালে একজন নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় উত্তাল গোটা ভারত। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এ ঘটনায়। এমনকি সংগীত ও শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির তারকারাও এক হয়েছেন প্রতিবাদ মিছিলে। তাদেরই একজন টালিউড অভিনেত্রী সোহিনী সরকার।
সামাজিকমাধ্যমে এক পোস্টে প্রতিবাদ জানান এ টলি তারকা। তাতে আগামী সেপ্টেম্বরের ‘মহামিছিল’র ১১ দফা দাবির কথাও জানান। ‘আমরা তিলোত্তমা, আমাদের দাবি’ শীর্ষক কয়েকটি ছবিও শেয়ার করেছেন। একইসঙ্গে শিল্পীদের রাজনৈতিক পদে থাকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সোহিনী সরকার।
ফেসবুক লাইভে সোহিনী বলেন, আমার মতে কোনও শিল্পী রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করতেই পারেন। কিন্তু কোনও পদে যেতে পারেন না। কোনও শিল্পীর এই ২০২৪ সালে কোনও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা উচিতই নয়। দুটি জিনিস পেয়ে গেলে কেউই আর ঠিক থাকেন না। একটি পদ, অন্যটি ক্ষমতা। কারণ, আমি একা পদে নেই। আমার উপরে যিনি রয়েছেন তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত হলে তার মতো করেই আমাকে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গদিতে এমন মোহমায়া রয়েছে যা মানুষকে আর মানুষ থাকতে দেয় না। কোনও শিল্পীর রাজনৈতিক চেতনা থাকতেই পারে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনও শিল্পীর পদে যাওয়াকে বিশ্বাস করি না। কেউ গেলেও তার বিরোধিতা করি।’
তারকাদের রাজনীতি যোগ নতুন কিছু নয়। পদে থাকার ঘটনাও চেনা প্রায় সকলেরই। কারণ, বিজেপি হোক কিংবা তৃণমূল- প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেই তারকাদের পদে থাকার বহু উদাহরণ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৫ জুলাই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন সোহিনী। গায়ক শোভন গঙ্গোপাধ্যায়কে বিয়ে করছেন তিনি। বর্তমানে অভিনয় ও পরিবার নিয়েই ব্যস্ত সোহিনী সরকার।
গত ৮ আগস্ট রাতের শিফট ছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের নারী চিকিৎসকের। পরের দিন সকালে হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১৩ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এ মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই ঘটনা সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে এখন পর্যন্ত একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বেশ কয়েকজনের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। তবে তদন্তভার নেওয়ার পর নতুন করে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করেনি সিবিআই।