স্পোর্টস ডেস্ক :
প্রত্যাবর্তনটা দুর্দান্তভাবে রাঙালেন আন্দ্রে রাসেল। দুই বছর পর জাতীয় দলে ফিরেই নায়ক বনে গেলেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্যই ফিরিয়ে আনা হয়েছিল তাকে। আর ফিরে এসেই নিজের কার্যকারীতা যথাযথভাবে প্রমাণ করেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বল হাতে ৩ উইকেট আর ব্যাত হাতে ২৯ রান করে দলের জয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন এই অলরাউন্ডার। তার অলরাউন্ড পারফর্ম্যান্সেই ইংলিশদের বিপক্ষে ১১ বল আর ৪ উইকেট হাতে রেখে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ব্রিজটাউনে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) টসে জিতে ইংল্যান্ডকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ইংলিশদের হয়ে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং অধিনায়ক জস বাটলার। এ দুজন মিলে উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৭ রান তুলেন স্কোরবোর্ডে। তবে ২০ বলে ৪০ রান করে আন্দ্রে রাসেলের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন সল্ট।
এরপর অধিনায়ক বাটলারও ফিরেন ৩১ বলে ৩৯ রান করেই। ইংলিশদের হয়ে এরপর আর সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তবে ১৯ বলে ২৭ রান করা এই ব্যাটারও সাজঘরে ফিরেন রাসেলের শিকার হয়েই। এরপর সফরকারীদের আরও এক উইকেট তুলে নেন দুই বছর পর দলে ফেরা রাসেল। ফলে ১৯.৩ ওভারেই ১৭১ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
ইংলিশদের দেয়া ১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবীয়দের শুরুটা অবশ্য খুব একটা ভালো হয়নি। ২.৪ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩২ রান ওঠলেও ফিরে যান ব্যাট হাতে ঝড়ের আভাস দেয়া ব্র্যান্ডন কিং। ১২ বলে ২ চার আর ২ ছয়ে ২২ রান করে ক্রিস ওকসের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি।
এরপর দলীয় ৭৮ রানে ফিরে যান আরেক ওপেনার কাইল মায়ার্স। ৪ ছয়ে ২১ বলে ২৫ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন তিনি। এরপর দ্রুত সাজঘরে ফিরেন নিকোলাস পুরাণ, শেমরন হেটমায়ার এবং রমারিও শেফার্ডও। তবে চাপে পড়া ক্যারিবীয়দের এদিন জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েছেন রোভমান পাওয়েল এবং আন্দ্রে রাসেল।
পাওয়েলের ১৫ বলে ৩১ এবং রাসেলের ১৪ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসের সৌজন্যে চার উইকেট হাতে রেখে ১৮.১ ওভারেই জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন রেহান আহমেদ।
ম্যাচ হারলেও ব্যক্তিগত মাইলফলক এদিন স্পর্শ করেছেন ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ। এদিন ইংল্যান্ডের প্রথম ও সব মিলিয়ে দশম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই লেগস্পিনার। তবে ম্যাচটা ছিল কেবলই রাসেলের। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনিই।