নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের কর্মসূচি চলবে, এই কর্মসূচি থেমে থাকবে না। এই কর্মসূচির লক্ষ্য দুঃশাসনের অবসান করা, কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান করা।
অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎখাতের দুর্নীতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থান কর্মসূচি করেছে ঢাকা জেলা বিএনপি। এই কর্মসূচি চলাকালে ওয়াপদা ভবনে গিয়ে জেলার পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়।
তিনি বলেন, সরকারের পতন অত্যাসন্ন। বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ১৫৪টি প্ল্যান্ট রয়েছে। তার মধ্যে শুধু ৪৯টি কোনো রকম চালু আছে। বাকি ১০৪টি প্রায় বন্ধ। সরকর দলীয় এক এমপি বলেছেন ফেরি করে নাকি বিদ্যুৎ বিক্রি হবে, কোথায় গেল সেই ফেরির বিদ্যুৎ?
অ্যাডভোকেট রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ‘বিদেশি চাপের কাছে আমি মাথা নত করবো না’, কিন্তু আপনাকে জনগণের শক্তির কাছেই মাথা নত করতে হবে। সীমান্তে যখন আমাদের লোককে গুলি করে তখন তো আপনাকে মাথা উঁচু করে থাকতে দেখি না। একটা প্রতিবাদও আপনাকে করতে দেখি না।
এই সরকারের পতন অনিবার্য- উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘একজন এমপি বলেছিলেন, বিদ্যুৎ নাকি ফেরি করে বিক্রি হবে, কেনার লোক পাওয়া যাবে না। এখন তো দেখছি অধিকাংশ পাওয়ার প্ল্যান্টই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফেরি করে বিক্রি করেছেন অন্যের কাছে। জনগণের অধিকারকে কারাবন্দি করেছেন, গোটা দেশকে বন্দিশালা করেছেন। এসব কিছুর অবসানের জন্য তারেক রহমানের নেতৃত্বে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রেরণায় জাতীয়তাবাদী সব গণতান্ত্রিক শক্তি আজ ঐক্যবদ্ধ।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যে দুর্জয় সাহস নিয়ে আজকে কর্মসূচি পালন করছেন, এই কর্মসূচি থেমে থাকবে না। আমাদের এই কর্মসূচির লক্ষ্য দুঃশাসন ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান করা।
নটরডেম কলেজের সামনে পুলিশের বাধায় কর্মসূচি শেষ করে রিজভী বিএনপির সাতজন প্রতিনিধিকে বিদ্যুৎ অফিস পাঠান, যাদের বেশিরভাগই বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য। তাদের মধ্যে ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীও ছিলেন।
পরে বিদ্যুৎ অফিসে গেলে এই সাত প্রতিনিধিকে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা প্রথমে ভেতরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা এবং পুলিশ সদস্যরা এই প্রতিনিধিদলকে অফিসের ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দেন। তবে এ সময় কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
প্রায় ২০ মিনিট বিদ্যুৎ অফিসের ভেতরে অবস্থান করে বিএনপির প্রতিনিধিদল। পরে বেরিয়ে এলে অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, ভেতরে চা নাস্তা ভালোই খেয়েছি। আপনাদের ধন্যবাদ।
অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ।