Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হয়ে উঠেছে : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পার্শ্ববর্তী দেশ (ভারত) ফ্যাসিবাদের বন্ধু। দিল্লি যেনো ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হয়ে উঠেছে। সেখান থেকে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কর্তৃক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, তাদের যেনো উত্থান না ঘটে। এজন্য গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে একজোট থাকতে হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাসিবাদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এটা যে কত আনন্দের, উচ্ছ্বাসের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আসতাম, তখন কত বক্তৃতা, কত রাজনৈতিক বিতর্ক, আলোচনা আমরা মধুর ক্যান্টিন থেকে করেছি। সেই আনন্দের দিন যেন হারিয়ে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সাহস পেতাম না। মাঝেমধ্যে যদি যেতামও তখন গাড়ির জানালাটা নামিয়ে দিতাম যাতে কেউ না দেখে। শেখ হাসিনার আমলে এই ধরনের একটি চরম ফ্যসিবাদের প্রাণকেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পরিবেশকে চারিদিক থেকে বিপন্ন করা হয়েছিল।

ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা পৃথিবীতে ছাত্র রাজনীতির যত ইতিহাস পড়েছি, যখন এক নায়কের শাসন চলছিল তখনও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করপোরেট স্বায়ত্তশাসন বজায় রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তখনো আন্দোলন চলেছে। কিন্তু হাসিনা সে সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছিল।

জিয়াউর রহমানই দেশে প্রথম বনায়ন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার আমলে তথাকথিত উন্নয়নের নামে বৃক্ষনিধন করা হয়েছে। এ ছাড়া খাল ভরাট ও নদী উজাড়ও করেছে স্বৈরাচার সরকার।

পরিবেশ রক্ষাকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে মানবজাতি এক বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে। বৈশ্বিকভাবে সবাই শঙ্কার মধ্যে আছেন। বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক তহবিল গঠন করে দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা করছে। এ বিষয়ে তৎপরতা না দেখালে আমরা ভালো ফল পাব না। এটি শুধু রাষ্ট্র বা সরকারের দায়িত্ব নয়। বরং এটি একটি সামাজিক আন্দোলন।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে যারা যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, তারা বিভিন্ন মেগাপ্রজেক্টের নামে নদী-খাল ভরাট করেছে। তারা বৃক্ষ উধাও করে দিয়েছে। স্বৈরাচারের সময় মানুষের মঙ্গলের জন্য ভালো কিছু হতে পারে না।

ন্যূনতম ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সহাবস্থান থাকবে। গত ১৫ বছরে সে সুযোগ ছিল না। এ পরিবেশকে আমাদের চিরস্থায়ী রাখতে হবে। যারা মানুষের সম্পদ ও টাকা পাচার করেছে, তাদের যেন পুনরুত্থান না হয়। তাই গণতান্ত্রিক সব আলোচনা-সমালোচনার পরও ন্যূনতম ঐক্য থাকতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ, সাদা দলের আহ্বায়ক মোর্শেদ হাসান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য লুৎফর রহমান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের অন্যতম পরিচালক ড. শাহ মোহাম্মদ আমানুল্লাহ প্রমুখ।

আবহাওয়া

বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যারা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না : মঈন খান

দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হয়ে উঠেছে : রিজভী

প্রকাশের সময় : ০৩:২৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পার্শ্ববর্তী দেশ (ভারত) ফ্যাসিবাদের বন্ধু। দিল্লি যেনো ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হয়ে উঠেছে। সেখান থেকে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মলচত্বরে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন কর্তৃক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, তাদের যেনো উত্থান না ঘটে। এজন্য গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে একজোট থাকতে হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাসিবাদের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। আজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এটা যে কত আনন্দের, উচ্ছ্বাসের তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আমি যখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আসতাম, তখন কত বক্তৃতা, কত রাজনৈতিক বিতর্ক, আলোচনা আমরা মধুর ক্যান্টিন থেকে করেছি। সেই আনন্দের দিন যেন হারিয়ে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সাহস পেতাম না। মাঝেমধ্যে যদি যেতামও তখন গাড়ির জানালাটা নামিয়ে দিতাম যাতে কেউ না দেখে। শেখ হাসিনার আমলে এই ধরনের একটি চরম ফ্যসিবাদের প্রাণকেন্দ্র ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পরিবেশকে চারিদিক থেকে বিপন্ন করা হয়েছিল।

ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা পৃথিবীতে ছাত্র রাজনীতির যত ইতিহাস পড়েছি, যখন এক নায়কের শাসন চলছিল তখনও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো করপোরেট স্বায়ত্তশাসন বজায় রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তখনো আন্দোলন চলেছে। কিন্তু হাসিনা সে সবকিছু নষ্ট করে দিয়েছিল।

জিয়াউর রহমানই দেশে প্রথম বনায়ন কর্মসূচি শুরু করেছিলেন জানিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনার আমলে তথাকথিত উন্নয়নের নামে বৃক্ষনিধন করা হয়েছে। এ ছাড়া খাল ভরাট ও নদী উজাড়ও করেছে স্বৈরাচার সরকার।

পরিবেশ রক্ষাকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে মানবজাতি এক বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে। বৈশ্বিকভাবে সবাই শঙ্কার মধ্যে আছেন। বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক তহবিল গঠন করে দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা করছে। এ বিষয়ে তৎপরতা না দেখালে আমরা ভালো ফল পাব না। এটি শুধু রাষ্ট্র বা সরকারের দায়িত্ব নয়। বরং এটি একটি সামাজিক আন্দোলন।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে যারা যারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, তারা বিভিন্ন মেগাপ্রজেক্টের নামে নদী-খাল ভরাট করেছে। তারা বৃক্ষ উধাও করে দিয়েছে। স্বৈরাচারের সময় মানুষের মঙ্গলের জন্য ভালো কিছু হতে পারে না।

ন্যূনতম ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সহাবস্থান থাকবে। গত ১৫ বছরে সে সুযোগ ছিল না। এ পরিবেশকে আমাদের চিরস্থায়ী রাখতে হবে। যারা মানুষের সম্পদ ও টাকা পাচার করেছে, তাদের যেন পুনরুত্থান না হয়। তাই গণতান্ত্রিক সব আলোচনা-সমালোচনার পরও ন্যূনতম ঐক্য থাকতে হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ, সাদা দলের আহ্বায়ক মোর্শেদ হাসান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য লুৎফর রহমান, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের অন্যতম পরিচালক ড. শাহ মোহাম্মদ আমানুল্লাহ প্রমুখ।