Dhaka শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ ইলিশ খেতে পারে না : ফরিদা আখতার

শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি : 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশ আমাদের সম্পদ। অথচ ইলিশের দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ সেটি খেতে পারে না। এটা বড় ধরনের অন্যায়। এ অন্যায় থেকে আমরা কীভাবে পরিত্রাণ পেতে পারি সে চেষ্টা করতে হবে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর লঞ্চঘাটে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষ্যে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সচেতনতা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, আমরা যদি ইলিশের প্রজনন মৌসুমটা মেনে চলি এবং ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে পারি তাহলে নদীতে ইলিশের বৃদ্ধি হবে। বাজারে এর দাম কমানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে। আপনারা আমাদের সে সুযোগটা করে দিবেন।

তিনি বলেন, ইলিশ রক্ষায় যদি অভিযান দিয়ে জেলেদেরকে ধরতে হয়, তবে তার চেয়ে দুঃখজনক ও লজ্জার আর কি হতে পারে? এটা আমরা করতে চাই না, আমরা চাই আপনারা (জেলেরা) নিজে থেকে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকবেন।

ফরিদা আখতার বলেন, সুরেশ্বর মাছ ঘাটকে মৎস্য অবতরণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে যারা মাছের ব্যবসা করেন, তারা নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ মাছ বিক্রি করবেন না। আপনাদের কারণে হয়তো জেলেরা মাছ ধরবে, এতে তাদের বদনাম হবে। এটা আমরা চাই না।

নৌপুলিশ ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর ইলিশ রক্ষায় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সুবিধা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমানে পদ্মার জেলেরা যে সুযোগ সুবিধা পান, তার চেয়ে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।

মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মানুষ দামের কারণে ইলিশ খেতে পায় না, আমরা চেষ্টা করব মানুষ যেন ইলিশ খেতে পারেন। দামের কারণে সাধারণ মানুষ ইলিশ খেতে পারবে না, এটা বড় ধরনের অন্যায়। এই অন্যায় বন্ধ করতে আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে। যদি নিষিদ্ধ সময়ে আপনারা ইলিশ ধরা বন্ধ করেন, তবে ইলিশ বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে ইলিশের দাম কমে যাবে। দাম কমলে সাধারণ মানুষ ইলিশ খেতে পারবে। দেশের ইলিশ বৃদ্ধি করতে আমাদের পক্ষ থেকে যা করা দরকার, তা আমরা করব। আমি আশা করব, আপনাদের দিকটাও আপনারা করবেন। ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আপনারা পদ্মার অভয় আশ্রমে ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি করা থেকে বিরত থাকবেন।

তিনি বলেন, আপনারা (জেলেরা) দাবি করেছেন, সুরেশ্বর ঘাটকে মাছের ঘাট হিসেবে তৈরি করা। আমি কথা দিচ্ছি, বিএফডিসির সঙ্গে কথা বলে এই সুরেশ্বর ঘাটকে মৎস অবতরণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এছাড়া এ এলাকার জেলেদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হবে। ভিজিএফের ২২ দিন কর্মসূচির আওতায় যেখানে জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হতো, সেখানে জেলেদের জন্য ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া জেরিন, পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম।

এ সময় জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, স্থানীয়রা ও জেলেরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়ক বেহাল, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ ইলিশ খেতে পারে না : ফরিদা আখতার

প্রকাশের সময় : ০৫:১৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি : 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশ আমাদের সম্পদ। অথচ ইলিশের দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ সেটি খেতে পারে না। এটা বড় ধরনের অন্যায়। এ অন্যায় থেকে আমরা কীভাবে পরিত্রাণ পেতে পারি সে চেষ্টা করতে হবে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর লঞ্চঘাটে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষ্যে জেলেসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সচেতনতা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, আমরা যদি ইলিশের প্রজনন মৌসুমটা মেনে চলি এবং ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে পারি তাহলে নদীতে ইলিশের বৃদ্ধি হবে। বাজারে এর দাম কমানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে। আপনারা আমাদের সে সুযোগটা করে দিবেন।

তিনি বলেন, ইলিশ রক্ষায় যদি অভিযান দিয়ে জেলেদেরকে ধরতে হয়, তবে তার চেয়ে দুঃখজনক ও লজ্জার আর কি হতে পারে? এটা আমরা করতে চাই না, আমরা চাই আপনারা (জেলেরা) নিজে থেকে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকবেন।

ফরিদা আখতার বলেন, সুরেশ্বর মাছ ঘাটকে মৎস্য অবতরণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে যারা মাছের ব্যবসা করেন, তারা নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ মাছ বিক্রি করবেন না। আপনাদের কারণে হয়তো জেলেরা মাছ ধরবে, এতে তাদের বদনাম হবে। এটা আমরা চাই না।

নৌপুলিশ ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শরীয়তপুরের পদ্মা নদীর ইলিশ রক্ষায় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সুবিধা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমানে পদ্মার জেলেরা যে সুযোগ সুবিধা পান, তার চেয়ে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।

মৎস ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মানুষ দামের কারণে ইলিশ খেতে পায় না, আমরা চেষ্টা করব মানুষ যেন ইলিশ খেতে পারেন। দামের কারণে সাধারণ মানুষ ইলিশ খেতে পারবে না, এটা বড় ধরনের অন্যায়। এই অন্যায় বন্ধ করতে আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে। যদি নিষিদ্ধ সময়ে আপনারা ইলিশ ধরা বন্ধ করেন, তবে ইলিশ বৃদ্ধি পেয়ে বাজারে ইলিশের দাম কমে যাবে। দাম কমলে সাধারণ মানুষ ইলিশ খেতে পারবে। দেশের ইলিশ বৃদ্ধি করতে আমাদের পক্ষ থেকে যা করা দরকার, তা আমরা করব। আমি আশা করব, আপনাদের দিকটাও আপনারা করবেন। ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আপনারা পদ্মার অভয় আশ্রমে ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি করা থেকে বিরত থাকবেন।

তিনি বলেন, আপনারা (জেলেরা) দাবি করেছেন, সুরেশ্বর ঘাটকে মাছের ঘাট হিসেবে তৈরি করা। আমি কথা দিচ্ছি, বিএফডিসির সঙ্গে কথা বলে এই সুরেশ্বর ঘাটকে মৎস অবতরণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এছাড়া এ এলাকার জেলেদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হবে। ভিজিএফের ২২ দিন কর্মসূচির আওতায় যেখানে জেলেদের ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হতো, সেখানে জেলেদের জন্য ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া জেরিন, পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম।

এ সময় জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, স্থানীয়রা ও জেলেরা উপস্থিত ছিলেন।