Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাম কমলেও অস্বস্তি নিম্ন আয়ের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রমজানের প্রথম সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা বাড়লেও এখন অনেকটা নমনীয়। তবে ৪০ টাকা কেজি প্রতি দিয়ে সবজির বাজার শুরু করতে হবে ক্রেতাদের। সবজির পাশাপাশি ডিমের দামও সামান্য কমেছে। লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকা ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি কমেছে ৫০-৬০ টাকা। একইসঙ্গে কমেছে ডিমের দামও। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে উৎপাদনকারী চার প্রতিষ্ঠান দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর ব্রয়লার মুরগির বাজারে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে অস্বস্তি দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

রায়ের বাজারে দেখা যায়, সকাল থেকেই বাজারে কোনো সবজির কমতি নেই। সুন্দর করেই সাজানো রয়েছে সবজি। চাহিদা কম থাকায় কিছুটা কমেছে সবজি দাম। বাজারে টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবু রয়েছে তিন ধরনের প্রতি হালি ৩০, ৪০ ও ৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালি, বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৮০-১০০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, আম (কাঁচা) ১২০, গাজর ৫০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা ও সাজনা প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। বড় রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। ছোট রসুনের (দেশি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা দরে। বাজারে আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। তবে বাজারভেদে দামের কিছুটা তারতম্য দেখা গেছে।

সবজি বিক্রেতা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, সবজির বাজার গত সপ্তাহের তুলনায় একটু কম। রোজার প্রথম সপ্তাহে একটু বেশি থাকলেও এখন স্বাভাবিক বলা যায়।

তবে এখন দাম বেশি বলে দাবি করেন সবজি কিনতে আসা আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, এখন তো সবজি পাওয়া যায়, শীতকালীন অনেক সবজিই রয়ে গেছে। তারপরও দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। ৪০ টাকার নিচে কোনো সবজি নাই। একটা লাউ ১০০ টাকা অবাক করা দাম!

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় পাঙ্গাস কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৯০ টাকা। ছোট পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৬০-১৮০ টাকা। কই মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩২০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ২৬০-২৭০ টাকা, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা যা গত সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ৫৪০ টাকা, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫০ টাকা গত সপ্তাহে ছিলো ৩০০ টাকা, শিং মাছ মাঝারি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫২০ টাকা গত সপ্তাহে ছিলো ৪৬০ টাকা, তেলাপিয়া কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৮০ টাকা।

বাড্ডা মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা মামুন ইসলাম বলেন, মাছের বাজার গত সপ্তাহের চেয়ে বাড়িতে। পাইকারি বাজারে মাছের সরবরাহ কম। গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি দামে মোকাম থেকে মাছ কিনতে হয়েছে। এরপর অন্য খরচ তো আছেই। আমরা যেমন কিনি তেমনই বিক্রি করি।
মাছ কিনতে আসা সোহেল রানা বলেন, আজ মাছের বাজার বেশ চড়া। রমজানে বাজার বেশ গরম। সব বাজারেই দাম চড়া। ১ কেজি মাছের দাম ৪০০-৫০০ টাকা, কিভাবে মাছ কিনবো?

রমজানের প্রথম সপ্তাহ শেষে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের ডিমের দাম কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দামও কমেছে।তবে বাজার ঘুরে সবজির দাম কমার লক্ষণ চোখে পড়েনি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়, যা আগে ছিল ৩৫০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। আগে কেজি ছিল ৩০০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. নাজমুল বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। ঈদের আগে আর দাম কমার তেমন সম্ভাবনা নেই। মুরগির দাম বাড়ার কারণ সিন্ডিকেট।

ব্রয়লার মুরগির দাম কমার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত সপ্তাহের মাঝামাঝি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৮০ টাকা কেজি হয়েছিল। সেখান থেকে বেড়ে কেজি হয় ২৬০ টাকা। আজ আবার ৪০ টাকা দাম কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।

বাজারে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ৫০টাকা প্রতি কেজিতে গোশতের দাম কমছে বলে জানান বিক্রেতারা। বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫০-১১০০ টাকা দরে।

বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ছিল ১৪০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০-২২০ টাকা।

ডিম বিক্রেতা মো. রমজান বলেন, ফার্মের ডিমের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ডজনে ৫-১০ টাকা কমেছে। এখন ফার্মের ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১৩০ টাকায়। কিন্তু পাড়া-মহল্লার দোকানে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৩৭ টাকায়।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

দেশি মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা দরে। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা দরে।

মিরপুর এলাকার বাসিন্দা মো. সালাউদ্দিন বলেন, এখন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ কষ্ট করে চলছে। দামের উর্ধ্বগতির জন্য বিশ্ব বাজারকে দায়ী করার কিছু নেই। এই মুহূর্তে বাজার তদারকি বা মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই। সরকারকে এই ব্যবস্থা দ্রুত করতে হবে। না হলে সাধারণ মানুষ না খেয়ে থাকবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

দাম কমলেও অস্বস্তি নিম্ন আয়ের মানুষ

প্রকাশের সময় : ০২:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রমজানের প্রথম সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা বাড়লেও এখন অনেকটা নমনীয়। তবে ৪০ টাকা কেজি প্রতি দিয়ে সবজির বাজার শুরু করতে হবে ক্রেতাদের। সবজির পাশাপাশি ডিমের দামও সামান্য কমেছে। লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকা ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি কমেছে ৫০-৬০ টাকা। একইসঙ্গে কমেছে ডিমের দামও। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে উৎপাদনকারী চার প্রতিষ্ঠান দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর ব্রয়লার মুরগির বাজারে প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা। তবে অস্বস্তি দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

রায়ের বাজারে দেখা যায়, সকাল থেকেই বাজারে কোনো সবজির কমতি নেই। সুন্দর করেই সাজানো রয়েছে সবজি। চাহিদা কম থাকায় কিছুটা কমেছে সবজি দাম। বাজারে টমেটো প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবু রয়েছে তিন ধরনের প্রতি হালি ৩০, ৪০ ও ৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালি, বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৮০-১০০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, আম (কাঁচা) ১২০, গাজর ৫০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা ও সাজনা প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে। বড় রসুনের কেজি ১২০-১৩০ টাকা। ছোট রসুনের (দেশি) কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা দরে। বাজারে আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা দরে। তবে বাজারভেদে দামের কিছুটা তারতম্য দেখা গেছে।

সবজি বিক্রেতা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, সবজির বাজার গত সপ্তাহের তুলনায় একটু কম। রোজার প্রথম সপ্তাহে একটু বেশি থাকলেও এখন স্বাভাবিক বলা যায়।

তবে এখন দাম বেশি বলে দাবি করেন সবজি কিনতে আসা আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, এখন তো সবজি পাওয়া যায়, শীতকালীন অনেক সবজিই রয়ে গেছে। তারপরও দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। ৪০ টাকার নিচে কোনো সবজি নাই। একটা লাউ ১০০ টাকা অবাক করা দাম!

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় পাঙ্গাস কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৯০ টাকা। ছোট পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৬০-১৮০ টাকা। কই মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩২০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ২৬০-২৭০ টাকা, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা যা গত সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬০০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ৫৪০ টাকা, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫০ টাকা গত সপ্তাহে ছিলো ৩০০ টাকা, শিং মাছ মাঝারি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৫২০ টাকা গত সপ্তাহে ছিলো ৪৬০ টাকা, তেলাপিয়া কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ১৭০-১৮০ টাকা।

বাড্ডা মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা মামুন ইসলাম বলেন, মাছের বাজার গত সপ্তাহের চেয়ে বাড়িতে। পাইকারি বাজারে মাছের সরবরাহ কম। গত সপ্তাহের চেয়ে বেশি দামে মোকাম থেকে মাছ কিনতে হয়েছে। এরপর অন্য খরচ তো আছেই। আমরা যেমন কিনি তেমনই বিক্রি করি।
মাছ কিনতে আসা সোহেল রানা বলেন, আজ মাছের বাজার বেশ চড়া। রমজানে বাজার বেশ গরম। সব বাজারেই দাম চড়া। ১ কেজি মাছের দাম ৪০০-৫০০ টাকা, কিভাবে মাছ কিনবো?

রমজানের প্রথম সপ্তাহ শেষে ব্রয়লার মুরগি ও ফার্মের ডিমের দাম কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দামও কমেছে।তবে বাজার ঘুরে সবজির দাম কমার লক্ষণ চোখে পড়েনি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়, যা আগে ছিল ৩৫০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। আগে কেজি ছিল ৩০০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. নাজমুল বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে। ঈদের আগে আর দাম কমার তেমন সম্ভাবনা নেই। মুরগির দাম বাড়ার কারণ সিন্ডিকেট।

ব্রয়লার মুরগির দাম কমার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত সপ্তাহের মাঝামাঝি ব্রয়লার মুরগির দাম কমে ১৮০ টাকা কেজি হয়েছিল। সেখান থেকে বেড়ে কেজি হয় ২৬০ টাকা। আজ আবার ৪০ টাকা দাম কমে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।

বাজারে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ৫০টাকা প্রতি কেজিতে গোশতের দাম কমছে বলে জানান বিক্রেতারা। বাজারে খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০৫০-১১০০ টাকা দরে।

বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ছিল ১৪০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০-২২০ টাকা।

ডিম বিক্রেতা মো. রমজান বলেন, ফার্মের ডিমের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে ডজনে ৫-১০ টাকা কমেছে। এখন ফার্মের ডিমের ডজন বিক্রি করছি ১৩০ টাকায়। কিন্তু পাড়া-মহল্লার দোকানে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৩৭ টাকায়।

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

দেশি মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০-১২৫ টাকা। বাজারে সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা দরে। এসব বাজারে লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা দরে।

মিরপুর এলাকার বাসিন্দা মো. সালাউদ্দিন বলেন, এখন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ কষ্ট করে চলছে। দামের উর্ধ্বগতির জন্য বিশ্ব বাজারকে দায়ী করার কিছু নেই। এই মুহূর্তে বাজার তদারকি বা মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই। সরকারকে এই ব্যবস্থা দ্রুত করতে হবে। না হলে সাধারণ মানুষ না খেয়ে থাকবে।