Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দলীয় মহাসমাবেশে বিএনপির দিক থেকে সহিংসতার আশঙ্কা নেই: মির্জা আব্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শুক্রবার (২৮ জুলাই) দলীয় মহাসমাবেশে বিএনপির দিক থেকে কোনও সহিংসতার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। একই দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের কারণে কোনও সংঘাত হবে কিনা এই প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে।

মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই আন্দোলন-সংগ্রাম কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল হিসেবে বিএনপি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে এসেছে। বারবার বিএনপির কর্মসূচির ওপর নৃশংস হামলা করার পরও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে তার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।

সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলন এখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বলে দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, স্বেচ্ছাতন্ত্র, উগ্র অহংকার ও একক কর্তৃত্বের মত গণতন্ত্রের নীতিবিরোধী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার জোর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে এ আন্দোলন চলছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। মানুষের জান-মাল, বিষয়-সম্পত্তি আজ চরমভাবে বিপন্ন। নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ কোনো বয়সের মানুষই নিরাপদ নয়। মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের যাঁতাকলে গণতন্ত্রের সর্বশেষ চিহ্নটিও মুছে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, মধ্যম ও নিম্নআয়ের মানুষেরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা। বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানিসহ নিত্যব্যবহার্য জিনিস মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দম বন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের সামাজিক জীবন অস্থির হয়ে পড়েছে। এরকম শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি আজ ১৫ বছর ধরে দেশে বিরাজমান।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এক কঠিন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া। তাকে চক্রান্তমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর চালানো হয়েছে নির্যাতন এবং চক্রান্তমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকেও সাজা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর কর্মসূচিতে ধারাবাহিকভাবে পুলিশ ও সরকারের পক্ষ থেকে হামলা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কয়েক মাস ধরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ধারাবাহিক কর্মসূচিতে সরকারের পক্ষ থেকে হামলা হলেও বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কখনোই সহিংস সন্ত্রাসের পথে পা বাড়ানো হয়নি। বরং সরকারের পক্ষ থেকেই গুলি ও অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীকে খুন, জখম ও পঙ্গু করা হয়েছে। হামলা হলেও এর প্রতিবাদ জানাতে বিএনপি তার নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি এবং কোনও উসকানিতে পা দেয়নি।

মির্জা আব্বাস বলেন, দলের পক্ষ থেকে বারবার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা বলে হলেও আমাদের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গত দুই দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি মনে করি সরকারের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক এবং নিপীড়নমূলক।

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে আবারও আহ্বান জানাই, আপনারা আগামীকাল নয়াপল্টনস্থ বিএনপির মহাসমাবেশের নিরাপত্তা বিধানে যথাযথ সহযোগিতা করবেন। আমি আশা করি, সমাবেশে আসার পথে জনগণ ও বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কোনো প্রকার বাধা প্রদান করা হবে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা মহাসমাবেশকে সাফল্যমণ্ডিত করতে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। দলের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনা সহকারে শান্তিপূর্ণ এই মহাসমাবেশে দলে দলে যোগ দেবেন। বিলম্বে হলেও আগামীকাল মহাসমাবেশে পুলিশ কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক ভূমিকার জন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা আন্দোলনে আজ সারা জাতি ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ জিয়ার নেতৃত্বেই এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরে আসে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল হিসেবে বিএনপি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে এসেছে। বারবার বিএনপির কর্মসূচির ওপর নৃশংস হামলা করার পরও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে তার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, কয়েকমাস ধরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ধারাবাহিক কর্মসূচিতে সরকারের পক্ষ থেকে হামলা হলেও বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কখনোই সহিংস সন্ত্রাসের পথে পা বাড়ায়নি বরং সরকারের পক্ষ থেকেই গুলি ও সশস্ত্র অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীকে খুন, জখম ও পঙ্গু করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশ, পদযাত্রা, তারুণ্যের সমাবেশ ইত্যাদি নানা কর্মসূচিতে সরকারি দল বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে হামলা হলেও এর প্রতিবাদ জানাতে বিএনপি তার নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি এবং কোন উসকানিতে পা দেয়নি।

তিনি আরো বলেন, আজ ২৭ জুলাই মহাসমাবেশের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ কর্ম দিবসের অজুহাত তোলা হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো যেকোনো দিবসেই, সেটি কর্মদিবসই হোক অথবা বন্ধের দিনই হোক, তা পালন করতে বাধা দেওয়া হয় না। তারপরেও সকলদিক বিবেচনা করে দলের পক্ষ থেকে আজকের কর্মসূচি পরিবর্তন করে আগামীকাল শুক্রবার বন্ধের দিন জুমার নামাজের পরে বেলা ২ টায় নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেড এম জাহিদ হোসেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী,ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম , উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ , নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

দলীয় মহাসমাবেশে বিএনপির দিক থেকে সহিংসতার আশঙ্কা নেই: মির্জা আব্বাস

প্রকাশের সময় : ১০:৪২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

শুক্রবার (২৮ জুলাই) দলীয় মহাসমাবেশে বিএনপির দিক থেকে কোনও সহিংসতার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকালে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। একই দিনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের কারণে কোনও সংঘাত হবে কিনা এই প্রশ্ন করা হয়েছিল তাকে।

মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই আন্দোলন-সংগ্রাম কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল হিসেবে বিএনপি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে এসেছে। বারবার বিএনপির কর্মসূচির ওপর নৃশংস হামলা করার পরও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে তার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।

সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলন এখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বলে দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, স্বেচ্ছাতন্ত্র, উগ্র অহংকার ও একক কর্তৃত্বের মত গণতন্ত্রের নীতিবিরোধী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার জোর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে এ আন্দোলন চলছে।

মির্জা আব্বাস বলেন, দেশ আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। মানুষের জান-মাল, বিষয়-সম্পত্তি আজ চরমভাবে বিপন্ন। নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ কোনো বয়সের মানুষই নিরাপদ নয়। মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের যাঁতাকলে গণতন্ত্রের সর্বশেষ চিহ্নটিও মুছে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, মধ্যম ও নিম্নআয়ের মানুষেরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা। বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানিসহ নিত্যব্যবহার্য জিনিস মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দম বন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের সামাজিক জীবন অস্থির হয়ে পড়েছে। এরকম শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি আজ ১৫ বছর ধরে দেশে বিরাজমান।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার এক কঠিন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া। তাকে চক্রান্তমূলকভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর চালানো হয়েছে নির্যাতন এবং চক্রান্তমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাকেও সাজা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর কর্মসূচিতে ধারাবাহিকভাবে পুলিশ ও সরকারের পক্ষ থেকে হামলা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, কয়েক মাস ধরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ধারাবাহিক কর্মসূচিতে সরকারের পক্ষ থেকে হামলা হলেও বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কখনোই সহিংস সন্ত্রাসের পথে পা বাড়ানো হয়নি। বরং সরকারের পক্ষ থেকেই গুলি ও অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীকে খুন, জখম ও পঙ্গু করা হয়েছে। হামলা হলেও এর প্রতিবাদ জানাতে বিএনপি তার নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি এবং কোনও উসকানিতে পা দেয়নি।

মির্জা আব্বাস বলেন, দলের পক্ষ থেকে বারবার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির কথা বলে হলেও আমাদের প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গত দুই দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি মনে করি সরকারের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক এবং নিপীড়নমূলক।

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে আবারও আহ্বান জানাই, আপনারা আগামীকাল নয়াপল্টনস্থ বিএনপির মহাসমাবেশের নিরাপত্তা বিধানে যথাযথ সহযোগিতা করবেন। আমি আশা করি, সমাবেশে আসার পথে জনগণ ও বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কোনো প্রকার বাধা প্রদান করা হবে না।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা মহাসমাবেশকে সাফল্যমণ্ডিত করতে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। দলের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনা সহকারে শান্তিপূর্ণ এই মহাসমাবেশে দলে দলে যোগ দেবেন। বিলম্বে হলেও আগামীকাল মহাসমাবেশে পুলিশ কর্তৃপক্ষের ইতিবাচক ভূমিকার জন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা আন্দোলনে আজ সারা জাতি ঐক্যবদ্ধ। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংগঠন। বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ জিয়ার নেতৃত্বেই এ দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরে আসে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে। গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল হিসেবে বিএনপি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে এসেছে। বারবার বিএনপির কর্মসূচির ওপর নৃশংস হামলা করার পরও বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে তার লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, কয়েকমাস ধরে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ধারাবাহিক কর্মসূচিতে সরকারের পক্ষ থেকে হামলা হলেও বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কখনোই সহিংস সন্ত্রাসের পথে পা বাড়ায়নি বরং সরকারের পক্ষ থেকেই গুলি ও সশস্ত্র অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীকে খুন, জখম ও পঙ্গু করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশ, পদযাত্রা, তারুণ্যের সমাবেশ ইত্যাদি নানা কর্মসূচিতে সরকারি দল বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে হামলা হলেও এর প্রতিবাদ জানাতে বিএনপি তার নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি এবং কোন উসকানিতে পা দেয়নি।

তিনি আরো বলেন, আজ ২৭ জুলাই মহাসমাবেশের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ কর্ম দিবসের অজুহাত তোলা হয়। কিন্তু আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো যেকোনো দিবসেই, সেটি কর্মদিবসই হোক অথবা বন্ধের দিনই হোক, তা পালন করতে বাধা দেওয়া হয় না। তারপরেও সকলদিক বিবেচনা করে দলের পক্ষ থেকে আজকের কর্মসূচি পরিবর্তন করে আগামীকাল শুক্রবার বন্ধের দিন জুমার নামাজের পরে বেলা ২ টায় নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেড এম জাহিদ হোসেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী,ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম , উত্তরের আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ , নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ।