আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে এবং ৮০ জনেরও বেশি আহত করেছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর স্থাপন করা সড়ক-প্রতিবন্ধকতা ভেদ করে বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে এলে তাদের ওপর এলোপাতারি গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তাতেই এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন বলেন, লেবাননের সার্বভৌমত্ব এবং ভৌগোলিক অখণ্ডতা নিয়ে কোনো আপস করা হবে না এবং আমি এই ইস্যুটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাব। যাতে লেবাননের জনগণের অধিকার নিশ্চিত হয়।
সম্প্রতি দক্ষিণ লেবাননে ৬০ দিনের অস্ত্রবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর পরই সীমান্ত বরাবর নিজ শহর ও গ্রামে ফিরে আসা লোকজনের ওপর গুলি চালায় বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী।
এ ঘটনায় সবাইকে শান্ত থাকতে এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট আউন বলেন, দক্ষিণ লেবাননের জনগণের সঙ্গে আমরা ন্যায়সঙ্গত বিজয় উদযাপন করেছি। লেবাননের সেনাবাহিনী সবসময় আপনাদের পাশে রয়েছে এবং আপনাদের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অন্যদিকে ইসরায়েলের এই শান্তি প্রক্রিয়া লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লেবাননের সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরি বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং অস্ত্রবিরতির চুক্তি পর্যবেক্ষণকারী দেশগুলোকে অবশ্যই ইসরায়েলি বাহিনীকে লেবাননের ভূখণ্ড থেকে দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
এদিকে সীমান্তের কাছে লেবাননের নাগরিকদের নিরাপদে বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য ‘পরিস্থিতি এখনো উপযুক্ত নয়’ বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় দুই কর্মকর্তা।
রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে লেবাননে জাতিসংঘের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং দক্ষিণ লেবাননের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের প্রধান এ কথা বলেন।
একইসঙ্গে, লেবাননে অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে নির্ধারিত সময়সীমাগুলো এখনো পূরণ হয়নি বলেও দাবি করেন তারা।