Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তেজগাঁওয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর তেজগাঁও কুনিপাড়া এলাকার একটি বাসায় ফিরোজা বেগম নামে (৫০) এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

শুক্রবার (২৬ মে) বিকেল ৩টার দিকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল পৌনে ৫টায় মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত ফিরোজা বেগম তেজগাঁওয়ের কানিজ গার্মেন্টেসে অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন। তার বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়। একটিমাত্র কন্যা সন্তানের মা ফিরোজা বেগম থাকতেন কুনিপাড়ায় একটি ঝিলের ওপরে তৈরি করা টং ঘরে। স্বামী শহিদুল ইসলাম তাকে ছেড়ে অন্যত্র থাকেন বলে জানিয়েছেন তার ছোটবোন শামসুন্নাহার বেগম।

তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা ছোট বোন শামসুন্নাহার বেগম জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়। একটিমাত্র কন্যা সন্তানের জননী ফিরোজা বেগম থাকতেন কুনিপাড়ায় একটি ঝিলের ওপরে তৈরি করা টং ঘরে। তার স্বামী শহিদুল ইসলাম তাকে ছেড়ে অন্যত্র থাকেন।

মহাখালির ৭ তলা বস্তিতে বসবাস করা শামসুন্নাহার আরও জানান, ২-৩ মাস ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তার বড় বোন ফিরোজা। তাকে দেখার জন্য এদিন (২৬ মে) বিকেল ৩টার দিকে যান কুনিপাড়ার ওই বাসায়। সেখানে গিয়ে ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকেই ফিরোজা বেগমকে ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের বাড়ির লোকজন জড়ো হলে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে ফিরোজা বেগমকে নিচে নামান তারা। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।

ফিরোজা বেগম ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দাবি করলেও, এর কারণ সম্পর্কে জানাতে পারেনি স্বজনরা।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তেজগাঁও থানাকে জানিয়েছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

তেজগাঁওয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে নারীর আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর তেজগাঁও কুনিপাড়া এলাকার একটি বাসায় ফিরোজা বেগম নামে (৫০) এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

শুক্রবার (২৬ মে) বিকেল ৩টার দিকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল পৌনে ৫টায় মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত ফিরোজা বেগম তেজগাঁওয়ের কানিজ গার্মেন্টেসে অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন। তার বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়। একটিমাত্র কন্যা সন্তানের মা ফিরোজা বেগম থাকতেন কুনিপাড়ায় একটি ঝিলের ওপরে তৈরি করা টং ঘরে। স্বামী শহিদুল ইসলাম তাকে ছেড়ে অন্যত্র থাকেন বলে জানিয়েছেন তার ছোটবোন শামসুন্নাহার বেগম।

তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা ছোট বোন শামসুন্নাহার বেগম জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়। একটিমাত্র কন্যা সন্তানের জননী ফিরোজা বেগম থাকতেন কুনিপাড়ায় একটি ঝিলের ওপরে তৈরি করা টং ঘরে। তার স্বামী শহিদুল ইসলাম তাকে ছেড়ে অন্যত্র থাকেন।

মহাখালির ৭ তলা বস্তিতে বসবাস করা শামসুন্নাহার আরও জানান, ২-৩ মাস ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তার বড় বোন ফিরোজা। তাকে দেখার জন্য এদিন (২৬ মে) বিকেল ৩টার দিকে যান কুনিপাড়ার ওই বাসায়। সেখানে গিয়ে ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকেই ফিরোজা বেগমকে ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এসময় তার চিৎকারে আশেপাশের বাড়ির লোকজন জড়ো হলে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে ফিরোজা বেগমকে নিচে নামান তারা। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান।

ফিরোজা বেগম ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দাবি করলেও, এর কারণ সম্পর্কে জানাতে পারেনি স্বজনরা।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তেজগাঁও থানাকে জানিয়েছি।