নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ‘জিয়া মঞ্চের ৩১’ এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গতিশীল রাখতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আর তা না করা হলে সেটা হবে দুঃখজনক। তারেক রহমানের নির্দেশে দলের নেতাকর্মীরা সবাই সজাগ রয়েছে, তারা কোনো চক্রান্ত সফল হতে দিবে না।
তিনি বলেন, আশা করি সবার আন্দোলন ও সংগ্রাম আমলে নিয়ে এই সরকার আমাদের এসব মামলার হাজিরা থেকে রেহাই দেবে। যদি এসব মামলায় এখন আমাদের হাজিরা দিতে হয়, তা হবে দুঃখজনক।
তিনি বলেন, এখানে কিছু ঘটনাও আছে। আবার কিছু গুজবও আছে। ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তিরা বসে নাই। তারা একটা নাশকতা করার চেষ্টা করবে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দেবো। সেখানে বিএনপির কেউ ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জাতির কলঙ্ক লেপনের চেষ্টা আমরা অত্যন্ত কঠিন হাতে মোকাবিলা করবো।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রে ফিরতে হবে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের সরকার নয়, এই সরকার আন্দোলনের ফসল। যারা আজকে সরকারে আছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সবাই অরাজনৈতিক। আমরা বিশ্বাস করি, তারা রাজনৈতিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে গণতন্ত্রের চলার পথকে সুগম করবেন। যতদ্রুত সম্ভব গণতন্ত্রের সূচনার জন্য একটা নির্বাচন দেবেন। সেই নির্বাচনে সব মানুষের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নতুন পথচলা শুরু হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, দেশে এখনও নির্বাচন হয়নি, জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে জনগণের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা হবে। সেখানে দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে বিএনপির পক্ষ থেকে আহ্বান করবো একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যেন স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখি।
গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের সরকার নয়। এটা আন্দোলনের ফসল। যারা আজ সরকারে আছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসসহ সবাই অরাজনৈতিক। আমরা বিশ্বাস করি, তারা রাজনৈতিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে গণতন্ত্রের চলার পথকে সুগম করবেন। যতদ্রুত সম্ভব গণতন্ত্রের সূচনার জন্য একটা নির্বাচন দেবেন। সেই নির্বাচনে সব মানুষের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নতুন পথচলা শুরু হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর বলেন, আমি বিশ্বাস করি- বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উপলব্ধি করতে পারবে যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে তারেক রহমান দিন-রাত পরিশ্রম করে জাতিকে সংগঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি আজ বিএনপির সীমানা পেরিয়ে জাতির নেতা হতে সক্ষম হয়েছেন। সুতরাং এই জাতির নেতার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে যেসব মামলা ও সাজা দেওয়া হয়েছে, সেসব মামলা প্রত্যাহার করবে সরকার। সেটা না করা হলে তা জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
হিন্দুদের দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে চলমান বিভিন্ন ঘটনার প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, এখানে কিছু ঘটনাও আছে। আবার কিছু গুজবও আছে। ৫ আগস্টের পরাজিত শক্তিরা বসে নাই। তারা একটা নাশকতা করার চেষ্টা করবে। তবে, বিএনপির পক্ষ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দেবো। সেখানে বিএনপির কেউ ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক উপদেষ্টা মীর শরাফত আলী সফুসহ অনেকে।