Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমানকে ফেরাতে টিকিটের ব্যবস্থা করবে ছাত্রলীগ : সাদ্দাম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ১৮৯ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় কার্যকর করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফেরাতে ছাত্রলীগ টিকিটের ব্যবস্থা করে দেবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে প্রতিবাদী পদযাত্রা নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করা হয়।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের সরকারের কাছে আহ্বান, অনতিবিলম্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানকে যেন বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়। ঢাকা-লন্ডন এয়ার টিকিটের ব্যবস্থা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করে দেবে। তাকে নিয়ে আসা হোক। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তারেক রহমানকে বাংলাদেশে নিয়ে আসুন। তাকে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা হোক।

উপস্থিতদের উদ্দেশে সাদ্দাম হোসেন বলেন, আসুন আমরা এই সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করি। এসব রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য অনেক কর্মকাণ্ড তারা পরিচালনা করেছে, লবিস্ট নিয়োগ করেছে। টাকা-পয়সা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ এক যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে তারা শোকবার্তা দেয়। এতে বুঝা যায়, তারা গণতন্ত্রের মুখপাত্র নয়, তারা যুদ্ধাপরাধীদের মুখপাত্র।

ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার কর্মকাণ্ড গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা পাওয়ার মতো।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ১৭ আগস্টে যেটি ঘটেছিল তা পৃথিবীর কোথাও ঘটেনি। দেশের ৪৩৪টি স্থানে একযোগে প্রায় ৫০০ বোমা হামলা হয়েছিল। জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসী, ধর্মীয় উগ্রবাদের ঘটনা পৃথিবীর অনেক দেশেই ঘটেছে, কিন্তু দেশব্যাপী সাংগঠনিক নেটওয়ার্কের যে পরিচয় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী দেখাতে পেরেছিল, সেটি পৃথিবীর ইতিহাসে বিরলতম ঘটনা। এটি আরেকটি দিক থেকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা পাওয়ার মতো— কেননা, এটি যেমন একটি দেশের ৯৯ ভাগ জায়গায় জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পেরেছিল, একইসঙ্গে এটি পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র ঘটনা যেটিতে সরাসরি রাষ্ট্র ও সরকার জড়িত।

তিনি বলেন, আমরা রিপোর্টে দেখেছি, সে সময়ে শুধুমাত্র পরোক্ষ বা পর্দার পেছন থেকে নয়, বরং সরাসরি বিএনপি-জামায়াত সরকারের অন্তত ৮ জন মন্ত্রী ও এমপি এই সাংগঠনিক সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের নেটওয়ার্কটি শক্তিশালী করতে জঙ্গিবাদের উৎসব, মানুষের মনে ভীতি-আতঙ্ক ছড়ানো এবং জঙ্গিবাদের আগমনী গান গাওয়ার জন্য তারা ঘোষণা দিয়ে এই কর্মকাণ্ড করেছিল।

বর্তমান সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে সাদ্দাম বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের বিরোধিতা করার জন্য ছাত্রলীগ করার প্রয়োজন নেই। আপনি যদি একজন সুনাগরিক হন, দেশের প্রতি ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থাকে, বাংলা মায়ের প্রতি এতটুকু ভালোবাসা অনুভব করেন, তাহলে এই সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের দেশের স্বার্থে শেখ হাসিনার সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে তার প্রমাণ দিতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তারেক রহমানকে ফেরাতে টিকিটের ব্যবস্থা করবে ছাত্রলীগ : সাদ্দাম

প্রকাশের সময় : ০৪:০৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় কার্যকর করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফেরাতে ছাত্রলীগ টিকিটের ব্যবস্থা করে দেবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক প্রতিবাদী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে প্রতিবাদী পদযাত্রা নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করা হয়।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের সরকারের কাছে আহ্বান, অনতিবিলম্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানকে যেন বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়। ঢাকা-লন্ডন এয়ার টিকিটের ব্যবস্থা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করে দেবে। তাকে নিয়ে আসা হোক। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তারেক রহমানকে বাংলাদেশে নিয়ে আসুন। তাকে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা হোক।

উপস্থিতদের উদ্দেশে সাদ্দাম হোসেন বলেন, আসুন আমরা এই সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করি। এসব রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য অনেক কর্মকাণ্ড তারা পরিচালনা করেছে, লবিস্ট নিয়োগ করেছে। টাকা-পয়সা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ এক যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে তারা শোকবার্তা দেয়। এতে বুঝা যায়, তারা গণতন্ত্রের মুখপাত্র নয়, তারা যুদ্ধাপরাধীদের মুখপাত্র।

ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট বিএনপি-জামায়াত সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার কর্মকাণ্ড গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা পাওয়ার মতো।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ১৭ আগস্টে যেটি ঘটেছিল তা পৃথিবীর কোথাও ঘটেনি। দেশের ৪৩৪টি স্থানে একযোগে প্রায় ৫০০ বোমা হামলা হয়েছিল। জঙ্গিবাদী, সন্ত্রাসী, ধর্মীয় উগ্রবাদের ঘটনা পৃথিবীর অনেক দেশেই ঘটেছে, কিন্তু দেশব্যাপী সাংগঠনিক নেটওয়ার্কের যে পরিচয় ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী দেখাতে পেরেছিল, সেটি পৃথিবীর ইতিহাসে বিরলতম ঘটনা। এটি আরেকটি দিক থেকে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা পাওয়ার মতো— কেননা, এটি যেমন একটি দেশের ৯৯ ভাগ জায়গায় জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পেরেছিল, একইসঙ্গে এটি পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র ঘটনা যেটিতে সরাসরি রাষ্ট্র ও সরকার জড়িত।

তিনি বলেন, আমরা রিপোর্টে দেখেছি, সে সময়ে শুধুমাত্র পরোক্ষ বা পর্দার পেছন থেকে নয়, বরং সরাসরি বিএনপি-জামায়াত সরকারের অন্তত ৮ জন মন্ত্রী ও এমপি এই সাংগঠনিক সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের নেটওয়ার্কটি শক্তিশালী করতে জঙ্গিবাদের উৎসব, মানুষের মনে ভীতি-আতঙ্ক ছড়ানো এবং জঙ্গিবাদের আগমনী গান গাওয়ার জন্য তারা ঘোষণা দিয়ে এই কর্মকাণ্ড করেছিল।

বর্তমান সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়ে সাদ্দাম বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের বিরোধিতা করার জন্য ছাত্রলীগ করার প্রয়োজন নেই। আপনি যদি একজন সুনাগরিক হন, দেশের প্রতি ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থাকে, বাংলা মায়ের প্রতি এতটুকু ভালোবাসা অনুভব করেন, তাহলে এই সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের দেশের স্বার্থে শেখ হাসিনার সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে তার প্রমাণ দিতে হবে।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজীবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।