Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হলো : আখতার হোসেন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১৮২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিবিসি বাংলাকে তিনি এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, দেশে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নির্বাচন হবে কি না, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হলো।

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব মনে করেন, তারেক রহমান দলীয় রাজনীতির বাইরে জাতীয় রাজনীতিতে কী ভূমিকা রাখেন, সেদিকে সবার নজর থাকবে।

বিবিসিকে আদিব বলেন, ‘তারেক রহমান নির্বাসনে থেকে তার দল বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে তিনি কীভাবে ভূমিকা রাখেন, সেটি একটি বড় বিষয়।’

এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের ইতিবাচক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছেন তিনি। তার পোস্টটি নিচে হুবহু দেওয়া হলো।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার এই অধিকারটি পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি ইতিবাচক প্রতিফলন।

তারেক রহমান এবং তার পরিবার রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং তাকে দীর্ঘ সময় নির্বাসিত থাকতে হয়েছে। হাজারো শহীদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ফলে এমন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। যেখানে তিনি ও তার পরিবার দেশে ফিরে আসতে পেরেছেন।

আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বাংলাদেশ রাষ্ট্র চাই, যেখানে ভবিষ্যতে ভিন্নমতের কারণে কোনো রাজনৈতিক নেতাদের রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।

বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিবেশ ভেঙে আমরা আজ যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে প্রতিটি নাগরিকের আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ​নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানাই। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তার এই অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হোক।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হলো : আখতার হোসেন

প্রকাশের সময় : ০৮:১০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিবিসি বাংলাকে তিনি এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, দেশে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও নির্বাচন হবে কি না, এ নিয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান দেশে ফেরায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দূর হলো।

এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব মনে করেন, তারেক রহমান দলীয় রাজনীতির বাইরে জাতীয় রাজনীতিতে কী ভূমিকা রাখেন, সেদিকে সবার নজর থাকবে।

বিবিসিকে আদিব বলেন, ‘তারেক রহমান নির্বাসনে থেকে তার দল বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে তিনি কীভাবে ভূমিকা রাখেন, সেটি একটি বড় বিষয়।’

এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের ইতিবাচক প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ-সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েছেন তিনি। তার পোস্টটি নিচে হুবহু দেওয়া হলো।

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার এই অধিকারটি পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি ইতিবাচক প্রতিফলন।

তারেক রহমান এবং তার পরিবার রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং তাকে দীর্ঘ সময় নির্বাসিত থাকতে হয়েছে। হাজারো শহীদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থানের ফলে এমন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। যেখানে তিনি ও তার পরিবার দেশে ফিরে আসতে পেরেছেন।

আমরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী বাংলাদেশ রাষ্ট্র চাই, যেখানে ভবিষ্যতে ভিন্নমতের কারণে কোনো রাজনৈতিক নেতাদের রাষ্ট্রীয় দমনপীড়নের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।

বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিবেশ ভেঙে আমরা আজ যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে হাঁটছি, সেখানে প্রতিটি নাগরিকের আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। ​নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমানকে স্বদেশে স্বাগত জানাই। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তার এই অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হোক।