Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারা হায়েনার মতো লুকিয়ে আছে যেকোনো সময় আক্রমণের শঙ্কা : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা হায়েনার মতো লুকিয়ে আছে, যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। তাদের প্রতিহত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দরকার।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহীদ মিনারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গণআন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে বিএনপির আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। নিরপক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেন গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হয়।

আন্দোলনে যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ এবং ভাতা দেয়ার দাবি তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারকে জোরালোভাবে বলতে হবে। যারা পঙ্গু হয়েছেন, নিহত হয়েছেন তাদের ভাতা দিতে হবে। যা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে যারা সংগ্রাম করছি তারা অত্যন্ত নির্যাতিত, অত্যাচারিত হয়েছি। আমাদের ৭০০ ভাই-বোন খুন হয়ে গেছে। আয়নাঘর হয়েছে। ছোট্ট শিশুটি এখনো তার বাবাকে খুঁজছে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

গোপালগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও রওশন আরা রত্নাসহ নেতা-কর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা, সংগঠনের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদককে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, চারদিকে নাগিনীদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস, তারা বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তারা পরিষ্কার করে বলতে চাচ্ছে, এখনো হায়নারা (আওয়ামী লীগ) লুকিয়ে আছে, যেকোনো সময় আক্রমণ করবে। হায়নাদের আক্রমণকে আমাদের প্রতিহত করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য এ দেশের মানুষ সবসময় আত্মত্যাগ ও প্রাণ দিয়েছে। ‘৭১-এ যখন আমরা স্বাধীন হলাম, তখন ভেবেছিলাম সত্যিকার অর্থে আমরা একটা প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশ পাবো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, যারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের দাবিদার ছিলেন প্রথম তাদের অর্থাৎ আওয়ামী লীগের হাতেই গণতন্ত্র ধ্বংস হয়। ৭৫ সালে তারা একদলীয় বাকশাল কায়েম করে। এ কথা একবার বললে হবে না, বারবার বলতে হবে। এই দলটি আবার ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। ছাত্রদের আন্দোলনকে বারবার দমন করতে নির্যাতন, গুম খুন করেছ। এর ফলশ্রুতিতে জুলাই মাসে ও ১৭ বছর এদেশের গণতান্ত্রিক মানুষ জীবন, প্রাণ দিয়েছেন।

আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের কথা তুলে ধরে অভিবাদন জানিয়ে তিনি বলেন, স্যালুট জানায় বেগম খালেদা জিয়াকে, গণতন্ত্রের প্রশ্নের তিনি কখনো আপস করেননি, মাথা নোয়াননি। দীর্ঘ ছয় বছর কারাগারে ছিলেন ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি মুক্ত হয়েছেন। সেই সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও অভিবাদন জানান তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

তারা হায়েনার মতো লুকিয়ে আছে যেকোনো সময় আক্রমণের শঙ্কা : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা হায়েনার মতো লুকিয়ে আছে, যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। তাদের প্রতিহত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দরকার।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহীদ মিনারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গণআন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে বিএনপির আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। নিরপক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেন গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হয়।

আন্দোলনে যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ এবং ভাতা দেয়ার দাবি তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারকে জোরালোভাবে বলতে হবে। যারা পঙ্গু হয়েছেন, নিহত হয়েছেন তাদের ভাতা দিতে হবে। যা অত্যন্ত জরুরি।

তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে যারা সংগ্রাম করছি তারা অত্যন্ত নির্যাতিত, অত্যাচারিত হয়েছি। আমাদের ৭০০ ভাই-বোন খুন হয়ে গেছে। আয়নাঘর হয়েছে। ছোট্ট শিশুটি এখনো তার বাবাকে খুঁজছে। তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

গোপালগঞ্জে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও রওশন আরা রত্নাসহ নেতা-কর্মীদের ওপর নৃশংস হামলা, সংগঠনের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদককে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, চারদিকে নাগিনীদের বিষাক্ত নিঃশ্বাস, তারা বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তারা পরিষ্কার করে বলতে চাচ্ছে, এখনো হায়নারা (আওয়ামী লীগ) লুকিয়ে আছে, যেকোনো সময় আক্রমণ করবে। হায়নাদের আক্রমণকে আমাদের প্রতিহত করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য এ দেশের মানুষ সবসময় আত্মত্যাগ ও প্রাণ দিয়েছে। ‘৭১-এ যখন আমরা স্বাধীন হলাম, তখন ভেবেছিলাম সত্যিকার অর্থে আমরা একটা প্রকৃত গণতান্ত্রিক দেশ পাবো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, যারা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের দাবিদার ছিলেন প্রথম তাদের অর্থাৎ আওয়ামী লীগের হাতেই গণতন্ত্র ধ্বংস হয়। ৭৫ সালে তারা একদলীয় বাকশাল কায়েম করে। এ কথা একবার বললে হবে না, বারবার বলতে হবে। এই দলটি আবার ২০০৮ সালে নির্বাচনের পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। ছাত্রদের আন্দোলনকে বারবার দমন করতে নির্যাতন, গুম খুন করেছ। এর ফলশ্রুতিতে জুলাই মাসে ও ১৭ বছর এদেশের গণতান্ত্রিক মানুষ জীবন, প্রাণ দিয়েছেন।

আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের কথা তুলে ধরে অভিবাদন জানিয়ে তিনি বলেন, স্যালুট জানায় বেগম খালেদা জিয়াকে, গণতন্ত্রের প্রশ্নের তিনি কখনো আপস করেননি, মাথা নোয়াননি। দীর্ঘ ছয় বছর কারাগারে ছিলেন ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি মুক্ত হয়েছেন। সেই সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও অভিবাদন জানান তিনি।