Dhaka শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাইওয়ানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানিয়েছে ভূতত্ত্ব বিষয়ক সংস্থা জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সস (জিএফজেড)। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, তাইওয়ানের তাইতুং কাউন্টি থেকে ১৬.৫ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

খবরে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের বৃহত্তর জনপদে সামান্য ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তাছাড়া তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়নি। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

একই দিনে লাতিন আমেরিকার দেশ চিলিতে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলেও জানিয়েছে রয়টার্স। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যমতে, রোববার চিলির বায়ো-বায়ো অঞ্চনে আঘাত হানা ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১৯ কিলোমিটার। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গাতেও ভূমিকম্প হওয়ার খবর দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যানুসারে, রোববার টোঙ্গাতে ৫.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

এর আগে গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে চীনের গানসু ও কিংহাই প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ নিহত এবং আরও এক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

তাইওয়ানের মতো চীনও ভূমিকম্প প্রবণ। কেননা দেশটি বেশ কয়েকটি টেকটোনিক প্লেটে অবস্থিত। গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। ১৯২০ সালে গানসু প্রদেশে ২০ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানলে নিহত হয়েছিল দুই লাখের বেশি মানুষ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৈরাজ্য প্রতিরোধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নাই : মির্জা ফখরুল

তাইওয়ানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প

প্রকাশের সময় : ০১:৩১:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে বলে জানিয়েছে ভূতত্ত্ব বিষয়ক সংস্থা জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সস (জিএফজেড)। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, তাইওয়ানের তাইতুং কাউন্টি থেকে ১৬.৫ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

খবরে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের বৃহত্তর জনপদে সামান্য ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তাছাড়া তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়নি। এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

একই দিনে লাতিন আমেরিকার দেশ চিলিতে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলেও জানিয়েছে রয়টার্স। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যমতে, রোববার চিলির বায়ো-বায়ো অঞ্চনে আঘাত হানা ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১৯ কিলোমিটার। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গাতেও ভূমিকম্প হওয়ার খবর দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিজিটিএন। ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের তথ্যানুসারে, রোববার টোঙ্গাতে ৫.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

এর আগে গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে চীনের গানসু ও কিংহাই প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষ নিহত এবং আরও এক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।

তাইওয়ানের মতো চীনও ভূমিকম্প প্রবণ। কেননা দেশটি বেশ কয়েকটি টেকটোনিক প্লেটে অবস্থিত। গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। ১৯২০ সালে গানসু প্রদেশে ২০ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানলে নিহত হয়েছিল দুই লাখের বেশি মানুষ।