Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তলে তলে যখন সব ঠিক হয়ে গেছে তখন দৌড়াদৌড়ি করে লাভ হবে না : কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এত টাকা দিয়ে তারা দৌড়ে যায় পিটার হাসের কাছে। দুপুরে যায়- রাতে যায় পিটার হাসের কাছে। আমি জানি না পিটার হাস তাদের কী স্বপ্ন দেখেয়েছেন। পিটার হাস কী করবেন, নিষেধাজ্ঞা দেবেন? তাদের মুরব্বিদের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়ে গেছে। তলে তলে যখন সব ঠিক হয়ে গেছে তখন দৌড়াদৌড়ি করে লাভ হবে না।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশ আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দেশে নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। এই দেশে নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখ হাসিনাই করবেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। ফখরুল সাহেব, নির্বাচনে না আসলে আমও যাবে, ছালাও যাবে। নির্বাচনে আসেন।

তিনি বলেন, মিজা ফখরুল সাহেবদের বদনাম ঘুচানোর জন্য শেখ হাসিনা এমন নির্বাচন করবেন যে নির্বাচন হবে নজিরবিহীন। ফখরুল সাহেব হারায়েন না, হারাইলে আর পাবেন না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ফখরুল সাহেব, আপনাকে বলি। নির্বাচন হবে এই দেশে। নির্বাচন ইনশাআল্লাহ হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে এই দেশে নির্বাচন কেউ বন্ধ করতে পারবে না। নির্বাচন হবে। শান্তিপূর্ণ হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের সর্বশেষ বক্তব্য শুনে মনে হয়, এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মরা লাশ নিয়ে টানাটানি করছেন। ওই মরা লাশ এখন আজিমপুরের গোরস্থানে। এই মরা লাশ নিয়ে টানাটানি করে লাভ হবে না। এই লাশ ফিরে আসবে না। নির্বাচন হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে কাদের বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। দিল্লি বহু দূর, ক্ষমতা বহু দূর। ক্ষমতায় যাওয়ার পথ বিএনপি নিজেই বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ফখরুল না এলে (নির্বাচন) আমও যাবে, চালাও যাবে। আপনারা (বিএনপি) দুনিয়াব্যাপী বদনাম করেছেন। তাই বদনাম গোছানোর জন্য এমন নজিরবিহীন নজির স্থাপন করবেন।

বিএনপি নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেওয়ার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যারা বন্ধ করে দিতে চায়, আমরা এত কোটি কোটি টাকার ইউরেনিয়াম কেন আনলাম? এ জন্য বলেছি ওদের মাথার ওপর ঢালবো। ফখরুল, মির্জা আব্বাসরা গরম হয়ে যায়। তাদের মাথার ওপর ঢালতে হবে।’

আগামী জানুয়ারি মাসে সারা দেশে ফাইনাল খেলা হবে উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘খেলা হবে সারা ঢাকায়, খেলা হবে চট্টগ্রামে, খেলা হবে সিলেটে, খেলা হবে রাজশাহীতে, খেলা হবে বরিশালে, খেলা হবে খুলনায়, খেলা হবে সারা বাংলায়। ঠিক আছে? ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে হবে। এখনই ক্লান্ত হলে চলবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘খেলা হবে, খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। খেলা হবে, সামনে আসছে সেমিফাইনাল। তারপরে ফাইনাল, গলা ঠিক রাখতে হবে। সামনে আরও দুই মাস, এখনই তোমরা বেশি ক্লান্ত হইয়ো না। সবদিক থেকেই খেলা হবে। ওরা ফাউল করবে, ফাউলের জবাব দিতে হবে। লাল কার্ড দেখাতে হবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

তলে তলে যখন সব ঠিক হয়ে গেছে তখন দৌড়াদৌড়ি করে লাভ হবে না : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৬:২৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এত টাকা দিয়ে তারা দৌড়ে যায় পিটার হাসের কাছে। দুপুরে যায়- রাতে যায় পিটার হাসের কাছে। আমি জানি না পিটার হাস তাদের কী স্বপ্ন দেখেয়েছেন। পিটার হাস কী করবেন, নিষেধাজ্ঞা দেবেন? তাদের মুরব্বিদের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়ে গেছে। তলে তলে যখন সব ঠিক হয়ে গেছে তখন দৌড়াদৌড়ি করে লাভ হবে না।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশ আয়োজন করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই দেশে নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। এই দেশে নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখ হাসিনাই করবেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। ফখরুল সাহেব, নির্বাচনে না আসলে আমও যাবে, ছালাও যাবে। নির্বাচনে আসেন।

তিনি বলেন, মিজা ফখরুল সাহেবদের বদনাম ঘুচানোর জন্য শেখ হাসিনা এমন নির্বাচন করবেন যে নির্বাচন হবে নজিরবিহীন। ফখরুল সাহেব হারায়েন না, হারাইলে আর পাবেন না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ফখরুল সাহেব, আপনাকে বলি। নির্বাচন হবে এই দেশে। নির্বাচন ইনশাআল্লাহ হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে এই দেশে নির্বাচন কেউ বন্ধ করতে পারবে না। নির্বাচন হবে। শান্তিপূর্ণ হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলের সর্বশেষ বক্তব্য শুনে মনে হয়, এখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মরা লাশ নিয়ে টানাটানি করছেন। ওই মরা লাশ এখন আজিমপুরের গোরস্থানে। এই মরা লাশ নিয়ে টানাটানি করে লাভ হবে না। এই লাশ ফিরে আসবে না। নির্বাচন হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে কাদের বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। দিল্লি বহু দূর, ক্ষমতা বহু দূর। ক্ষমতায় যাওয়ার পথ বিএনপি নিজেই বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ফখরুল না এলে (নির্বাচন) আমও যাবে, চালাও যাবে। আপনারা (বিএনপি) দুনিয়াব্যাপী বদনাম করেছেন। তাই বদনাম গোছানোর জন্য এমন নজিরবিহীন নজির স্থাপন করবেন।

বিএনপি নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেওয়ার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যারা বন্ধ করে দিতে চায়, আমরা এত কোটি কোটি টাকার ইউরেনিয়াম কেন আনলাম? এ জন্য বলেছি ওদের মাথার ওপর ঢালবো। ফখরুল, মির্জা আব্বাসরা গরম হয়ে যায়। তাদের মাথার ওপর ঢালতে হবে।’

আগামী জানুয়ারি মাসে সারা দেশে ফাইনাল খেলা হবে উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘খেলা হবে সারা ঢাকায়, খেলা হবে চট্টগ্রামে, খেলা হবে সিলেটে, খেলা হবে রাজশাহীতে, খেলা হবে বরিশালে, খেলা হবে খুলনায়, খেলা হবে সারা বাংলায়। ঠিক আছে? ফাইনাল পর্যন্ত খেলতে হবে। এখনই ক্লান্ত হলে চলবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘খেলা হবে, খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। খেলা হবে, সামনে আসছে সেমিফাইনাল। তারপরে ফাইনাল, গলা ঠিক রাখতে হবে। সামনে আরও দুই মাস, এখনই তোমরা বেশি ক্লান্ত হইয়ো না। সবদিক থেকেই খেলা হবে। ওরা ফাউল করবে, ফাউলের জবাব দিতে হবে। লাল কার্ড দেখাতে হবে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।