Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকার মেট্রোরেল আংশিক চালু হবে ২০২১ এর শেষে

মডেল ছবি

আগামী বছরের শেষ দিকে ঢাকার মেট্রোরেল আংশিক চালু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তিনি বলেন, করোনা মহামারির সময়ও মেট্রোরেলের কাজ চলছে। তবে গতি কিছুটা কমেছে এটা ঠিক।

কাজের অগ্রগতির জন্য নির্মাণ শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক উদ্যোগ নিয়েছেন এবং কোভিডের বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জাপানের রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপান। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ডিএমটিসিএলের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, তাদের নেতৃত্বে সময়সীমার মধ্যে যেন কাজটি সম্পন্ন হয়। আমি আশাবাদী, ২০২১ সালের শেষে এমআরটি লাইন-৬ আংশিক চালু হবে। এছাড়া লাইন-১ এর বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজ চলছে। আমরা গত আগস্টে পরামর্শ চুক্তি স্বাক্ষরের পরে নর্থ লাইনের কাজ শুরু করেছি।

তিনি জানান, ডিএমটিসিএল এখন মেট্রোরেল ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার কাজ শুরু করবে। বাণিজ্যিক পরিচালনা শুরুর জন্য শুধু নির্মাণের ক্ষেত্রে নয়, সুরক্ষা এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সক্ষমতা জোরদার করা জরুরি।

আরও পড়ুন : ৫৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন কর্ণফুলী তলদেশের টানেলের

ইতো নাওকি বলেন, এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের লক্ষ্যে জাপান সরকার ২০১২ সাল থেকে চার ধাপে ২৩৭.৫ বিলিয়ন ইয়েন অর্থায়নে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। আমরা এমআরটি লাইন-৬ এর বাণিজ্যিক অপারেশনের লক্ষ্যে নিরাপদে পরিচালনা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখব। একইসঙ্গে আমরা বাংলাদেশ সরকার ও ডিএমটিসিএলকে রেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ- প্রশিক্ষণের জন্য অনুরোধ করতে চাই।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ও ২০২২ সালে জাপান-বাংলাদেশ ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকীতে আমাদের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব আরও উন্নত করার জন্য আমাদের সামনে দুর্দান্ত সুযোগ। আমি সে লক্ষ্যে ঢাকায় আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ে তুলতে চাই। একই সঙ্গে এই প্রসঙ্গে আমিও রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুটি স্পর্শ করার সুযোগটি নিতে চাই। এই ইস্যুর স্থায়ী সমাধান কেবল বাংলাদেশ নয়, এই অঞ্চল ও এই অঞ্চলের বাইরের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাপান শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানে সক্ষমতা ও প্রত্যাবাসনে সক্রিয় পরিবেশ তৈরি করতে বাংলাদেশের জন্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ঢাকার মেট্রোরেল আংশিক চালু হবে ২০২১ এর শেষে

প্রকাশের সময় : ০৬:১৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০

আগামী বছরের শেষ দিকে ঢাকার মেট্রোরেল আংশিক চালু হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তিনি বলেন, করোনা মহামারির সময়ও মেট্রোরেলের কাজ চলছে। তবে গতি কিছুটা কমেছে এটা ঠিক।

কাজের অগ্রগতির জন্য নির্মাণ শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক উদ্যোগ নিয়েছেন এবং কোভিডের বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জাপানের রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

ঢাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপান। জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ডিএমটিসিএলের প্রতি আমার পরামর্শ থাকবে, তাদের নেতৃত্বে সময়সীমার মধ্যে যেন কাজটি সম্পন্ন হয়। আমি আশাবাদী, ২০২১ সালের শেষে এমআরটি লাইন-৬ আংশিক চালু হবে। এছাড়া লাইন-১ এর বিস্তারিত নকশা তৈরির কাজ চলছে। আমরা গত আগস্টে পরামর্শ চুক্তি স্বাক্ষরের পরে নর্থ লাইনের কাজ শুরু করেছি।

তিনি জানান, ডিএমটিসিএল এখন মেট্রোরেল ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার কাজ শুরু করবে। বাণিজ্যিক পরিচালনা শুরুর জন্য শুধু নির্মাণের ক্ষেত্রে নয়, সুরক্ষা এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থাপনার কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সক্ষমতা জোরদার করা জরুরি।

আরও পড়ুন : ৫৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন কর্ণফুলী তলদেশের টানেলের

ইতো নাওকি বলেন, এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের লক্ষ্যে জাপান সরকার ২০১২ সাল থেকে চার ধাপে ২৩৭.৫ বিলিয়ন ইয়েন অর্থায়নে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। আমরা এমআরটি লাইন-৬ এর বাণিজ্যিক অপারেশনের লক্ষ্যে নিরাপদে পরিচালনা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখব। একইসঙ্গে আমরা বাংলাদেশ সরকার ও ডিএমটিসিএলকে রেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ- প্রশিক্ষণের জন্য অনুরোধ করতে চাই।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ও ২০২২ সালে জাপান-বাংলাদেশ ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকীতে আমাদের দ্বিপক্ষীয় অংশীদারিত্ব আরও উন্নত করার জন্য আমাদের সামনে দুর্দান্ত সুযোগ। আমি সে লক্ষ্যে ঢাকায় আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ে তুলতে চাই। একই সঙ্গে এই প্রসঙ্গে আমিও রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুটি স্পর্শ করার সুযোগটি নিতে চাই। এই ইস্যুর স্থায়ী সমাধান কেবল বাংলাদেশ নয়, এই অঞ্চল ও এই অঞ্চলের বাইরের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাপান শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানে সক্ষমতা ও প্রত্যাবাসনে সক্রিয় পরিবেশ তৈরি করতে বাংলাদেশের জন্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।