স্পোর্টস ডেস্ক :
নতুন দায়িত্ব পেয়ে বুধবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকায় এসেছেন ফিল সিমন্স। আনুষ্ঠানিকভাবে তার ছবি দিয়ে বিসিবি জানিয়েছে, জাতীয় দলের ভার সামলাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন সিমন্স।
২০১৭ সালে বাংলাদেশের কোচ হতে আগ্রহ দেখিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে এসেছিলেন সিমন্স। সেবার নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড তাকে নিয়োগ দেয়নি। এবার ফারুক আহমেদ আস্থা রাখল সিমন্সের ওপর। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কাজ শুরুর পর হিসেব অনুযায়ী ১০০ দিনের কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন সিমন্স। ঢাকায় পৌঁছে সিমন্সের হাস্যোজ্জ্বল মুখটি দেখা যায়।
সাবেক এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৭ বিশ্বকাপের পর আয়ারল্যান্ডের কোচ হন তিনি।
৮ বছরের এই লম্বা সময়ে তার অধীনেই ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে আইরিশরা।
তবে ২০১৫ বিশ্বকাপের পরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেড কোচ হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেন সিমন্স। টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে তলানির দিকে থাকা দলটিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে শেখান তিনি। শুধু তা-ই নয়, তার অধীনে ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর পরের বছরই অবশ্য সিমন্স আফগানিস্তানের কোচ হন।
কিন্তু ২০১৯ সালে আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডাগআউটে ফেরেন তিনি। সেবার অবশ্য ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী ছিল তার জন্য। তাই পদত্যাগ করেন বিশ্বকাপের পরপরই।
সর্বশেষ ২০২৪ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির হেড কোচ হিসেবে ছিলেন সিমন্স।
জাতীয় দলের পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও সরব উপস্থিতি রয়েছে তার। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ, পিএসএলসহ নানা টুর্নামেন্টে বিভিন্ন পদবীতে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে ক্যারিবীয় এই কোচের। নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবার বাংলাদেশে আসছেন সিমন্স।
ক্যারিবীয়দের জার্সিতে খেলেছেন খেলেছেন ২৬ টেস্ট ও ১৪৩ ওয়ানডে। ৬ সেঞ্চুরিতে করেছেন প্রায় ৫ হাজার রান। উইকেট আছে নব্বইয়ের অধিক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার রয়েছে ১১ হাজারের বেশি রান। সেই সঙ্গে দুইশর বেশি উইকেট।