স্পোর্টস ডেস্ক :
রংপুরের বোলাররা কাজটা আগেই সহজ করে রেখেছিলেন। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবং আলাউদ্দিন বাবুর আগুনঝড়া বোলিংয়ে ফাইনালে মাত্র ৬২ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা মেট্রো। মামুলি এই লক্ষ্য তাড়ায় নেমে রংপুরও ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে। সেখান থেকে অবশ্য পথ হারায়নি আকবর আলীর দল। আরিফুল হক এবং মোহাম্মদ এনামুলের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষমেশ ৫ উইকেটের জয়ে এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর বিভাগ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬ দশমিক ৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৬২ রানে থামে ঢাকা মেট্রো। জবাবে ১১ দশমিক ২ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে রংপুর।
টস জিতে মেট্রোকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রংপুর অধিনায়ক। মুকিদুলের প্রথম বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান ইমরানউজ্জামান। তবে এক বল পর একই জায়গায় ক্যাচ দেন উইকেটরখক-ব্যাটসম্যান।
পরের ওভারে নাঈম শেখকে কট বিহাইন্ড করেন আলাউদ্দিন। রানের খাতা খুলতে পারেননি মেট্রো অধিনায়ক। তবে ৯ ম্যাচে তিন ফিফটিসহ ৩১৬ রান করে বাঁহাতি ওপেনারই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাত করেন মুকিদুল। দারুণ ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হন আনিসুল ইসলাম। পরের বলে আউটসুইং ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচ দেন আমিনুল ইসলাম। মাত্র ৮ রানে প্রথম ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় মেট্রো।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে গাজী তাহজিবুল ইসলামও ধরেন ড্রেসিং রুমের পথ। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে চমৎকার ভেতরে ঢোকানো ডেলিভারিতে বোল্ড করেন আলাউদ্দিন।
প্রথম ছয় ওভারে অর্ধেক উইকেট হারানো দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন মোসাদ্দেক হোসেন ও শামসুর রহমান। দুজনের জুটিতে আসে ইনিংসের সর্বোচ্চ ১৭ রান। কিন্তু চল্লিশের আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন তারা।
দলের সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন শামসুর। পরে আবু হায়দারের ২ চারে ৯ বলে ১৩ রানে মেট্রো কোনোমতে পঞ্চাশ পেরোয়।
ছোট লক্ষ্যে রংপুরের শুরুটাও হয় নড়বড়ে। পাঁচ ওভারের ভেতরে ড্রেসিং রুমে ফেরেন চার ব্যাটসম্যান। চতুর্থ ওভারে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও নাঈম ইসলামকে ফেরান আলিস আল ইসলাম।
পরের ওভারে আবু হায়দারের বলে এলবিডব্লিউ চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান। তাহজিবুলের দারুণ থ্রোয়ে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায়ঘণ্টা বাজে আকবরের।
তবে এরপর তেমন বিপদ হয়নি রংপুরের। চার নম্বরে নেমে একপ্রান্ত ধরে রাখেন তানবীর হায়দার। ১টি করে চার-ছক্কায় ১৪ রান করে ফেরেন আরিফুল হক। পরে এনামুল হককে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন তানবীর।