নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুরে গাড়িদহ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে চলছে পুলিশের চাঁদা আদায়ের মহোৎসব। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী মহাসড়কের উপরে সকল প্রকার সবুজ সিএনজি, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, থ্রি-হুইলারসহ ভটভটি ও নসিমন করিমন নামের অবৈধ যানবাহন চলাচল শতভাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
এমন নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে অন্যায় এবং অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের মোট ৬ জন অফিসার ও পুলিশ সদস্যকে চলতি মাসের প্রথমদিকে শেরপুর থেকে বদলি করা হয়। এরপরেও থেমে নেই অনিয়ম ও দুর্নীতিসহ মহাসড়কে চাঁদা আদায়।
সবুজ সিএনজি চালকদের মতে, বিভিন্ন ফিডার রোডে চলাচলের জন্য প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত সিএনজি চলাচলের জ্বালানি গ্যাস নিতে বাধা না থাকলেও শেরপুরের রাস্তায় কয়েকজন অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা চালকদের আটক করে চাঁদা আদায় করে থাকেন। কেউ যদি চাহিদামতো চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন, তা হলে মহাসড়ক ব্যবহারের অপরাধে মামলা দিয়ে প্রতিটি সিএনজি থেকে ২৬০০ টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের সীমানা বগুড়া বনানী মোড় থেকে দক্ষিণে সিরাজগঞ্জ জেলার ষোল মাইল হাটিকুমরুল পর্যন্ত। মহাসড়কের বিশেষ বিশেষ স্থানে চুক্তি করে সিএনজি চালানোর অনুমতি দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে প্রতিদিন গাড়িদহ আর দশ মাইল মহাসড়কে যানবাহনে মামলা দিয়ে অবশিষ্ট রাস্তায় আদায় করা হচ্ছে মাসিক মালতি নামের চাঁদা।
মহাসড়কের উপরে বগুড়ার মাঝিড়া, বি-ব্লক, নয়মাইল, আড়িয়া বাজার, দশ মাইল, শেরপুর বাসস্ট্যান্ড সাউদিয়ার দক্ষিণে, ধুনট মোড়, মির্জাপুর, ছোনকা বাজার, চান্দাইকোনাসহ রায়গঞ্জ ও ষোল মাইল বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়কের উপরে সিএনজি স্ট্যান্ড ও চলাচল থাকলেও শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের চোখে পড়ে না।
অভিযোগ আছে ওই সকল স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন তাদের কাছে নগদে টাকা জমা হয় বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে হাইওয়ে পুলিশের দ্বিমুখী আচরণের কারণে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের মাঝে অসন্তোষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শেরপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. জয়নাল আবেদীন সরকার বলেন, আইন সবার জন্য সমান। তাই গরিব মানুষের কাছে সবুজ সিএনজিসহ যেকোনো অবৈধ যানবাহন পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ নিয়ে বগুড়ার হাইওয়ে পুলিশ সুপার বলেন, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক মহাসড়ক নিরাপদ করতে অবৈধ যানবাহন চলতে দেয়া হবে না। এজন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।