Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৭ কিলোমিটার জুড়ে যানজট

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : 

অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও চার লেন সড়কের কাজের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা।

বুধবার (৬ মার্চ) ভোররাত থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব হতে কালিহাতীর রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দুই লেনেই পরিবহনের চাপ রয়েছে। তবে এলেঙ্গা হতে ঢাকাগামী লেনে তেমন পরিবহন নেই। যানজটের কারণে উত্তরবঙ্গগামী এবং ঢাকাগামী পরিবহনগুলো এলেঙ্গা হতে ভুঞাপুর-তারাকান্দি- বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে সেতু গোলচত্বর হয়ে চলাচল করছে।

চালকরা জানান, মাঝেমধ্যে ভোর থেকেই এই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে আজকে সড়কে পরিবহনের চাপ বেশি রয়েছে।

বগুড়াগামী থেকে কাঁচামালবাহী ট্রাকচালক কদ্দুস হোসেন বলেন, সেতু পশ্চিমে টোল দিয়ে এসেই কাঁচামাল নিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে সেতু পূর্ব গোল চত্বর এলাকায় আটকে আছি। যথা সময়ে আড়তে কাঁচা মাল পৌঁছাতে কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে কয়েকগুণ গাড়ির চাপ বেশি।

গাবতলী থেকে আসা রংপুরগামী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী হাসান আলী, রত্না বেগমসহ অনেকে বলেন, দীর্ঘসময় ধরে যানজটের কবলে পড়েছি। প্রায় এলেঙ্গার দিকে যানজটের শিকার হতে হয়। যানজটের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কে এলোমেলো গাড়ি চালানো ও চার লেনের কাজ করার কারণে এমন যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে শুনেছি।

এ বিষয়ে অ্যালেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেশি। সেই সঙ্গে অ্যালেঙ্গা থেকে সেতু পূর্ব পর্যন্ত দুই লেনে সড়কে পরিবহনের ধীরগতি হলেই ট্রাকচালকেরা ঘুমিয়ে যান। এতে পেছনের গাড়িগুলোও মনে করে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি জানান, তা ছাড়া অ্যালেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত চার লেন সড়কের কাজ চলছে। যার কারণে যানজট আরও লেগে যায়। যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। তবে, যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কমে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ১৭ কিলোমিটার জুড়ে যানজট

প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : 

অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও চার লেন সড়কের কাজের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা।

বুধবার (৬ মার্চ) ভোররাত থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব হতে কালিহাতীর রসুলপুর পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দুই লেনেই পরিবহনের চাপ রয়েছে। তবে এলেঙ্গা হতে ঢাকাগামী লেনে তেমন পরিবহন নেই। যানজটের কারণে উত্তরবঙ্গগামী এবং ঢাকাগামী পরিবহনগুলো এলেঙ্গা হতে ভুঞাপুর-তারাকান্দি- বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে সেতু গোলচত্বর হয়ে চলাচল করছে।

চালকরা জানান, মাঝেমধ্যে ভোর থেকেই এই সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তবে আজকে সড়কে পরিবহনের চাপ বেশি রয়েছে।

বগুড়াগামী থেকে কাঁচামালবাহী ট্রাকচালক কদ্দুস হোসেন বলেন, সেতু পশ্চিমে টোল দিয়ে এসেই কাঁচামাল নিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে সেতু পূর্ব গোল চত্বর এলাকায় আটকে আছি। যথা সময়ে আড়তে কাঁচা মাল পৌঁছাতে কোনো সম্ভাবনা নেই। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে কয়েকগুণ গাড়ির চাপ বেশি।

গাবতলী থেকে আসা রংপুরগামী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী হাসান আলী, রত্না বেগমসহ অনেকে বলেন, দীর্ঘসময় ধরে যানজটের কবলে পড়েছি। প্রায় এলেঙ্গার দিকে যানজটের শিকার হতে হয়। যানজটের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কে এলোমেলো গাড়ি চালানো ও চার লেনের কাজ করার কারণে এমন যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে শুনেছি।

এ বিষয়ে অ্যালেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, মহাসড়কে পরিবহনের চাপ বেশি। সেই সঙ্গে অ্যালেঙ্গা থেকে সেতু পূর্ব পর্যন্ত দুই লেনে সড়কে পরিবহনের ধীরগতি হলেই ট্রাকচালকেরা ঘুমিয়ে যান। এতে পেছনের গাড়িগুলোও মনে করে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি জানান, তা ছাড়া অ্যালেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত চার লেন সড়কের কাজ চলছে। যার কারণে যানজট আরও লেগে যায়। যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। তবে, যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট কমে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।