নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে দ্বিতীয় যাত্রীবাহী ট্রেনের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন ট্রেনটির নাম হিসেবে ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ চূড়ান্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেনটি চলমান কক্সবাজার এক্সপ্রেসের মতোই বিরতিহীন যাত্রীসেবা দেবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে সোমবার (১ জানুয়ারি) স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে ১ জানুয়ারি থেকে ট্রেনটি চলার ঘোষণা দিলেও এখন ট্রেনটি কবে থেকে চলা শুরু করবে, সে ব্যাপারে কিছু জানায়নি রেলওয়ে।
চিঠিতে জানানো হয়, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলের জন্য নতুন ননস্টপ আন্তঃনগর ট্রেনের নাম পর্যটক এক্সপ্রেস হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পর্যটকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে সদ্য আমদানি করা কোরিয়ান কোচ দিয়ে আন্তঃনগর এই ট্রেন পরিচালনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছে।
চিঠিতে নতুন ট্রেন সম্পর্কে বলা হয়, নতুন এই ট্রেনের নম্বর হবে ৮১৫ এবং ৮১৬। ট্রেনটি ৩২টি বগির ওপর ১৬টি কোচ নিয়ে চলবে। ট্রেনের আসন সংখ্যা হবে ৭৮০টি। রবিবার থাকবে ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ।
প্রস্তাবিত সময়সূচি অনুযায়ী, ৮১৫ ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টায়। চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে এবং ছাড়বে ১১টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৩টা ৫০ মিনিটে ও ছাড়বে ৩টা ৫৩ মিনিটে এবং ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৪টায়।
অন্যদিকে ৮১৬ নম্বর ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে ভোর সোয়া ৬টায়। বিমানবন্দর স্টেশন পৌঁছাবে ভোর ৬টা ৩৮ মিনিটে ও ছাড়বে ৬টা ৪৩ মিনিটে, চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ও ছাড়বে ১১টা ৪০ মিনিটে এবং কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ৩টায়।
গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা বিলাসবহুল ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’র উদ্বোধন করেন। তবে রাজধানী ঢাকা থেকে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১ ডিসেম্বর।
মোট টিকিটের সংখ্যা ৭০০টি। শোভন চেয়ারের দাম ধরা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এছাড়া এসি চেয়ার টিকিটের দাম ১৩২৫ টাকা। কেবিন ও এসি বার্থের সুবিধা আপাতত থাকছে না। পরবর্তীতে এসব সুবিধা সংযুক্ত হলে টিকিটের দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।