Dhaka শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি : 

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে রাঙামাটির সিম্বল অব রাঙামাটিখ্যাত ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনে উঠতে শুরু করেছে পানি। সেতু পানিতে ডুবে যাওয়ায় দর্শনার্থী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে সেতুটি কোথাও ৬ ইঞ্চি কোথাও তার চেয়ে বেশি পানিতে ডুবে গেছে। যার কারণে সেতুতে দর্শনার্থী প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা।

তিনি জানান, ঝুলন্ত সেতুতে কাপ্তাই হ্রদের পানি প্রবেশ করায় কর্তৃপক্ষের সাঙ্গে কথা বলে আমরা সেতুতে পর্যটকদের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। সেতু থেকে পানি না নামা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

সদর উপজেলার পর্যটন এলাকায় পর্যটন করপোরেশন ১৯৮৬ সালে নয়নাভিরাম ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করে। দুই পাহাড়ের মাঝখানে দুটি পিলারের ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটি দেখতে জলপথে ও স্থলপথে যে কোনো মাধ্যমে সহজে যাওয়া যায়। বর্তমানে সেতুটি ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ হিসেবে দেশবিদেশে পরিচিতি লাভ করেছে।

১৯৮৬ সালে স্থাপনের পর থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৪-১০৫ এমএসএল হলে হ্রদের পানিতে ডুবে যায় পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতুটি।

কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানির লেভেল ১০৫ দশমিক ৬৯ এমএসএল। হ্রদের পানি ১০৮ দশমিক ৫ এমএসএলের কাছাকাছি এলে জলকপাট দিয়ে হ্রদের পানি কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশে যেন উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে : তারেক রহমান

ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু, পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশের সময় : ০১:৪৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি : 

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে রাঙামাটির সিম্বল অব রাঙামাটিখ্যাত ঝুলন্ত সেতুর পাটাতনে উঠতে শুরু করেছে পানি। সেতু পানিতে ডুবে যাওয়ায় দর্শনার্থী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে সেতুটি কোথাও ৬ ইঞ্চি কোথাও তার চেয়ে বেশি পানিতে ডুবে গেছে। যার কারণে সেতুতে দর্শনার্থী প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা।

তিনি জানান, ঝুলন্ত সেতুতে কাপ্তাই হ্রদের পানি প্রবেশ করায় কর্তৃপক্ষের সাঙ্গে কথা বলে আমরা সেতুতে পর্যটকদের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। সেতু থেকে পানি না নামা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

সদর উপজেলার পর্যটন এলাকায় পর্যটন করপোরেশন ১৯৮৬ সালে নয়নাভিরাম ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করে। দুই পাহাড়ের মাঝখানে দুটি পিলারের ভর করে দাঁড়িয়ে থাকা দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটি দেখতে জলপথে ও স্থলপথে যে কোনো মাধ্যমে সহজে যাওয়া যায়। বর্তমানে সেতুটি ‘সিম্বল অব রাঙামাটি’ হিসেবে দেশবিদেশে পরিচিতি লাভ করেছে।

১৯৮৬ সালে স্থাপনের পর থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৪-১০৫ এমএসএল হলে হ্রদের পানিতে ডুবে যায় পর্যটন করপোরেশনের ঝুলন্ত সেতুটি।

কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে পানির লেভেল ১০৫ দশমিক ৬৯ এমএসএল। হ্রদের পানি ১০৮ দশমিক ৫ এমএসএলের কাছাকাছি এলে জলকপাট দিয়ে হ্রদের পানি কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।