Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে আসছে সাইবার নিরাপত্তা আইন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তন করে এখন ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে প্রতিস্থাপিত হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধন করে সন্নিবেশিত করা হবে সাইবার নিরাপত্তা আইনে।এসব তথ্য জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার (৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে যেসব ধারা ছিল, সেই ধারা রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার, জনগণের সরকার। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের মিসইউজ এবং অ্যাবিউজ বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম আইনের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, নতুন আইনে বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধন হয়েছে। এটার আজকে নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল নয়, পরিবর্তন হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হচ্ছে।

পরে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে নতুন যে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ করা হচ্ছে। সেখানে মানহানির মামলায় সাংবাদিকদের কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না। তবে থাকছে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। অনাদায়ে ৩ বা ৬ মাসের কারাদণ্ড। এ সাজা শুধু জরিমানা না দিতে পারলেই ভোগ করতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারায় মানহানির বিচার করা হয়। এই ধারায় বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেন, সেই কারণে তিনি অনধিক তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

তিনি বলেন, নতুন আইনে কারাদণ্ডের বিধান বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ জরিমানা ২০ লাখ টাকা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৩ বা ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এ সাজা শুধু জরিমানা না দিতে পারলেই ভোগ করতে হবে।

এর আগে, গত বুধবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ বাতিল বা পরিবর্তন করা হবে না। তবে আইনের অপব্যবহার রোধে এটি সংশোধন করার প্রক্রিয়া চলছে, যা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের অধিকার সমুন্নত রাখা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে র্দীঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

অবশেষে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিল।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বদলে আসছে সাইবার নিরাপত্তা আইন

প্রকাশের সময় : ০৩:৩১:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ পরিবর্তন করে এখন ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে প্রতিস্থাপিত হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধন করে সন্নিবেশিত করা হবে সাইবার নিরাপত্তা আইনে।এসব তথ্য জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সোমবার (৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মধ্যে যেসব ধারা ছিল, সেই ধারা রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার, জনগণের সরকার। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের মিসইউজ এবং অ্যাবিউজ বন্ধ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম আইনের মাধ্যমে।

তিনি আরও বলেন, নতুন আইনে বেশ কয়েকটি ধারা সংশোধন হয়েছে। এটার আজকে নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল নয়, পরিবর্তন হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হচ্ছে।

পরে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে নতুন যে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ করা হচ্ছে। সেখানে মানহানির মামলায় সাংবাদিকদের কারাদণ্ডের বিধান থাকবে না। তবে থাকছে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। অনাদায়ে ৩ বা ৬ মাসের কারাদণ্ড। এ সাজা শুধু জরিমানা না দিতে পারলেই ভোগ করতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯ ধারায় মানহানির বিচার করা হয়। এই ধারায় বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেন, সেই কারণে তিনি অনধিক তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

তিনি বলেন, নতুন আইনে কারাদণ্ডের বিধান বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে এ জরিমানা ২০ লাখ টাকা বাড়িয়ে ২৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। অনাদায়ে ৩ বা ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। এ সাজা শুধু জরিমানা না দিতে পারলেই ভোগ করতে হবে।

এর আগে, গত বুধবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ বাতিল বা পরিবর্তন করা হবে না। তবে আইনের অপব্যবহার রোধে এটি সংশোধন করার প্রক্রিয়া চলছে, যা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের অধিকার সমুন্নত রাখা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে র্দীঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

অবশেষে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিল।