মেয়েকে ডাক্তার দেখাতে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন তারা। কিন্তু কে জানতো মেয়েকে এভাবে সুস্থ করতে গিয়ে সবাই ফিরবেন লাশ হয়ে? সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে একই পরিবারের ৬টি প্রাণ। দুর্ঘটনায় এক সিএনজি অটোরিকশা চালকও মারা গেছেন।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে সিএনজি-বাস মুখোমুখি সংঘর্ষে তাদের মৃত্যু হয়। শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে ঘিওর-দৌলতপুর আঞ্চলিক সড়কের মূলকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার চাষাভাদ্রা গ্রামের বাদ্যকরপাড়া গ্রামের গোবিন্দ বাদ্যকর (৩২), তার মেয়ে রাধেঁ বাদ্যকর (৪), স্ত্রী ববিতা বাদ্যকর (২৫), বাবা হরে কৃষ্ণ (৫৫), চাচি খুশি বালা (৫০) ও চাচাতো ভাই রামপ্রসাদ বাদ্যকর (৩২)। আরেকজন হলেন দৌলতপুর উপজেলার সমেতপুর গ্রামের সিএনজিচালক জামাল (৩২)।
নিহতের স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার চাষাভাদ্রা গ্রামের বাদ্যকরপাড়ার গোবিন্দ বাদ্যকর তার অসুস্থ মেয়ে রাধেঁ বাদ্যকরকে নিয়ে মানিকগঞ্জে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন : ৬ কি.মি. পদ্মা সেতুর বাকি মাত্র একটি স্প্যান
নিহতের স্বজনদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার চাষাভাদ্রা গ্রামের বাদ্যকরপাড়ার গোবিন্দ বাদ্যকর তার অসুস্থ মেয়ে রাধেঁ বাদ্যকরকে নিয়ে মানিকগঞ্জে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে দৌলতপুর মূলকান্দি এলাকায় তাদের বহনকারী সিএনজিটি পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ভিলেজ লাইনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজিতে থাকা পরিবারের সবাই নিহত হন।
দৌলতপুর থানার ওসি রেজাউল করীম বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত ভিলেজ লাইনের বাসটি আটক করা হলেও চালক ও সহকারী পলাতক রয়েছেন।
দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত ডাক্তার নাফমুন রইস জানান, হাসপাতালে আনার আগেই সবাই মারা গেছেন।