Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রান্সজেন্ডারের নামে জাতিকে বলৎকার ও সমকামী করা হচ্ছে : ইসলামী আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ট্রান্সজেন্ডারের নামে জাতিকে বলৎকার ও সমকামী করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আবুল ফজল ফয়েজীর গোষ্ঠী কিছু আলেম শরীফ শরীফার গল্পকে বৈধতা দিয়েছে। লোভের কারণে শরীফ শরীফার গল্পের মধ্যে ওই আলেমরা কোনও ত্রুটি দেখেনা। আমাদের দাবি ছিল প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার। সে দাবি কর্ণপাত না করে ৫ হাজারের অধিক নাচ গান শেখানোর টিচার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, আমরা ইসলামের কথা বললে সাম্প্রদায়িক হয়ে যাই। মুসলমানদের জন্য করা সলিমুল্লাহর ইউনিভার্সিটিতে নামাজ, ইফতার করতে আপত্তি থাকলেও মঙ্গলশোভা যাত্রা করতে কোন আপত্তি নেই। দূরদর্শী প্লান নিয়ে আগ্রাসনের কালো থাবা এগিয়ে আসছে। যারা শরীফ শরীফার মধ্যে কোনও কিছু দেখে না তারা আবুল ফজল ফয়েজীর গোষ্ঠী। ওরা ইসলাম ও দেশের দুশমন। এই সরকার তাদেরকে অর্থ দিয়ে লালন-পালন করছে।

তিনি বলেন, শিক্ষা আলো। শিক্ষা থেকে যদি বঞ্চিত রাখা যায় তবে জাতিকে ধ্বংস করা যায়। মাদরাসার বইতে সালামের পরিবর্তে প্রণাম দেওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। মাদরাসার পুস্তকে ছেলে মেয়েদের অবাধ চলা ফেরা দেখানো হয়েছে। মা বাবার দ্বীনি পরিবেশ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে কৃষি শিক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে। গার্হস্থ্য শিক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন শিল্প সংস্কৃতির মধ্যে ঢোল তবলা দেওয়া হয়েছে। এটা শিল্পকলার কাজ, জাতীয় কারিকুলামে এটা হতে পারে না। মুসলিম সন্তানদেরকে একত্রে নাচতে গাইতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. নাছির উদ্দিন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডক্টর আবদুল লতিফ মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আ খ ম ইউনুস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ট্রান্সজেন্ডারের নামে জাতিকে বলৎকার ও সমকামী করা হচ্ছে : ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ট্রান্সজেন্ডারের নামে জাতিকে বলৎকার ও সমকামী করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

শুক্রবার (১০ মে) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত ‘নতুন পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আবুল ফজল ফয়েজীর গোষ্ঠী কিছু আলেম শরীফ শরীফার গল্পকে বৈধতা দিয়েছে। লোভের কারণে শরীফ শরীফার গল্পের মধ্যে ওই আলেমরা কোনও ত্রুটি দেখেনা। আমাদের দাবি ছিল প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার। সে দাবি কর্ণপাত না করে ৫ হাজারের অধিক নাচ গান শেখানোর টিচার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, আমরা ইসলামের কথা বললে সাম্প্রদায়িক হয়ে যাই। মুসলমানদের জন্য করা সলিমুল্লাহর ইউনিভার্সিটিতে নামাজ, ইফতার করতে আপত্তি থাকলেও মঙ্গলশোভা যাত্রা করতে কোন আপত্তি নেই। দূরদর্শী প্লান নিয়ে আগ্রাসনের কালো থাবা এগিয়ে আসছে। যারা শরীফ শরীফার মধ্যে কোনও কিছু দেখে না তারা আবুল ফজল ফয়েজীর গোষ্ঠী। ওরা ইসলাম ও দেশের দুশমন। এই সরকার তাদেরকে অর্থ দিয়ে লালন-পালন করছে।

তিনি বলেন, শিক্ষা আলো। শিক্ষা থেকে যদি বঞ্চিত রাখা যায় তবে জাতিকে ধ্বংস করা যায়। মাদরাসার বইতে সালামের পরিবর্তে প্রণাম দেওয়ার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। মাদরাসার পুস্তকে ছেলে মেয়েদের অবাধ চলা ফেরা দেখানো হয়েছে। মা বাবার দ্বীনি পরিবেশ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক থেকে কৃষি শিক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে। গার্হস্থ্য শিক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন শিল্প সংস্কৃতির মধ্যে ঢোল তবলা দেওয়া হয়েছে। এটা শিল্পকলার কাজ, জাতীয় কারিকুলামে এটা হতে পারে না। মুসলিম সন্তানদেরকে একত্রে নাচতে গাইতে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক মো. নাছির উদ্দিন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডক্টর আবদুল লতিফ মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আ খ ম ইউনুস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম, প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ।