প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরকে দুই দেশের পারস্পারিক বোঝাপড়া ও সম্পর্ক উন্নয়নের সহায়ক হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। বিনা মাশুলে বাংলাদেশকে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট দেয়ার ভারত সরকারের প্রস্তাব, সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত করবে বলে মনে করেন তারা। তবে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি ও সীমান্তে হত্যা বন্ধের মত বিষয়গুলো দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখলে দু’দেশের সম্পর্কের উষ্ণতায় ভাটা পড়তে পারে বলেও মন্তব্য তাদের।
ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশকে বিনা মাশুলে ভারতে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট দেয়ার ঘোষণা এবং কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহারের সমঝোতা স্মারক সই করা এই সফরের বড় অর্জন মনে করেন কূটনীতিকরা।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর শীর্ষ বৈঠক নিয়ে ৩৩ অনুচ্ছেদের একটি যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ হয় বুধবার। যেখানে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, রাজনীতি, বাণিজ্য, সংযুক্তি, পানিসম্পদ, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক, দুই দেশের জনগণের মেলবন্ধনসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সব বিষয় নিয়ে দু’দেশ সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একমত হয়েছে বলে জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, সম্পর্কের গভীরতা বাড়াতে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতার পথ নকশা বাস্তবায়নে দুই দেশই মনোযোগী হবে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির এবারের সফরে উল্লেখযোগ্য কোন অর্জন না দেখলেও এমন যোগাযোগে দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যত বোঝাপড়া এবং একে অন্যের প্রতি সংবেদনশীল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে সহায়ক বলে মনে করেন। অমীমাংসিত বিষয়গুলি ঝুলিয়ে রাখলে দেশের এবং রাজনীতিতে মানুষের মনোভাবে বিরুপ প্রভাব পরতে পারে বলে মনে করেন তারা।