Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেলিপ্যাব থেকে রোকেয়া প্রাচীকে অব্যাহতি

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪
  • ২০৩ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সহ-সভাপতির পদ থেকে রোকেয়া প্রাচীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সাংগঠনিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন দোদুল। সহ-সভাপতির পদ হারালেও সাধারণ সদস্য হিসেবে সংগঠনটিতে থাকছেন প্রাচী।

এর আগে, গেল ৮ জুন রাজধানীর বনানী ক্লাবে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ২০২৪-২৬ মেয়াদে আরশাদ আদনান ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুলকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে টেলিপ্যাব। এই কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন রোকেয়া প্রাচী। আজ সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে ‘অব্যাহতি’র ঘটনাটি প্রকাশ করেন নির্মাতা আশরাফুল আলম বাবলু।

কী কারণে সংগঠনের সহ-সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে দোদুল জানান, শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হবে।

এদিকে, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে রোকেয়া প্রাচীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন রোকেয়া প্রাচী। দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও ছিলেন সক্রিয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ গেল ১৫ আগস্ট শোক দিবসের আগের রাতে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে গেলে তার ওপর হামলা হয়েছে বলে জানান এই অভিনেত্রী।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে জয় পরাজয় নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে টিভি নাটকে তার যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৭ সালে দুখাই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জগতে তার অভিষেক হয়।

তার অভিনীত তিনটি চলচ্চিত্র অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলো। প্রাচী অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টিভি নাটক, কাহিনীচিত্র ও টেলিছবি নির্মাণ করেছেন।

এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- তালিকা, স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, রুবিনা, আমেনা ও ফুলকির গল্প। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সহিদ রহমানের গল্প অবলম্বনে নির্মিত কাহিনীচিত্র কবি ও কবিতা পরিচালনা করেছেন তিনি। এর আগে তিনি ২০০৯ সালে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন, সেটিই ছিল তার প্রথম পরিচালনা, এরপর তিনি লুৎফুন্নেসা ও বায়ান্নর মিছিলে নামে আরও দুটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

টেলিপ্যাব থেকে রোকেয়া প্রাচীকে অব্যাহতি

প্রকাশের সময় : ১১:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : 

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সহ-সভাপতির পদ থেকে রোকেয়া প্রাচীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সাংগঠনিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন দোদুল। সহ-সভাপতির পদ হারালেও সাধারণ সদস্য হিসেবে সংগঠনটিতে থাকছেন প্রাচী।

এর আগে, গেল ৮ জুন রাজধানীর বনানী ক্লাবে অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ২০২৪-২৬ মেয়াদে আরশাদ আদনান ও সাজ্জাদ হোসেন দোদুলকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করে টেলিপ্যাব। এই কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন রোকেয়া প্রাচী। আজ সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে ‘অব্যাহতি’র ঘটনাটি প্রকাশ করেন নির্মাতা আশরাফুল আলম বাবলু।

কী কারণে সংগঠনের সহ-সভাপতির পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে দোদুল জানান, শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হবে।

এদিকে, বিষয়টি সম্পর্কে জানতে রোকেয়া প্রাচীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন রোকেয়া প্রাচী। দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডেও ছিলেন সক্রিয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। তবে দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ গেল ১৫ আগস্ট শোক দিবসের আগের রাতে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে গেলে তার ওপর হামলা হয়েছে বলে জানান এই অভিনেত্রী।

বাংলাদেশ টেলিভিশনে জয় পরাজয় নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে টিভি নাটকে তার যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৭ সালে দুখাই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জগতে তার অভিষেক হয়।

তার অভিনীত তিনটি চলচ্চিত্র অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলো। প্রাচী অভিনয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি টিভি নাটক, কাহিনীচিত্র ও টেলিছবি নির্মাণ করেছেন।

এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- তালিকা, স্বপ্ন সত্যি হতে পারে, রুবিনা, আমেনা ও ফুলকির গল্প। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সহিদ রহমানের গল্প অবলম্বনে নির্মিত কাহিনীচিত্র কবি ও কবিতা পরিচালনা করেছেন তিনি। এর আগে তিনি ২০০৯ সালে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন, সেটিই ছিল তার প্রথম পরিচালনা, এরপর তিনি লুৎফুন্নেসা ও বায়ান্নর মিছিলে নামে আরও দুটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন।