Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেকনাফে নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকা ডুবে কক্সবাজারের টেকনাফ সাগরে শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছে অন্তত ২২ জন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বেলা ১২ টার পরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া পয়েন্ট এলাকার সাগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে ৮ জন শিশু-কিশোর নারী ও একজন পুরুষ রয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে দুই জনকে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত সবাই রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রাতে টেকনাফ উপকূল থেকে একটি ছোট ট্রলার নিয়ে তারা মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্য রওনা হন। এ সময় কিছু দূর গিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় নারী ও শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। তারা টেকনাফ লেদা রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছি। তবে তাদের পরিচয় জানতে পারেনি। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো.ওসমান গনি বলেন, সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় জেলেরা ১০ জন রোহিঙ্গা মৃতদেহ উদ্ধার করা করেছে। যেহেতু বাংলাদেশে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি চলছে। তাই আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিদের কথা বলে মৃতদেহগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, আজ ভোররাতের পর ওপার থেকে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে মর্টার শেল, শক্তিশালী গ্রেনেড বোমার বিস্ফোরণের শব্দে এ পারের বাড়িঘর কাঁপছে। মিয়ানমারে আরাকান আর্মি ও সে দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

টেকনাফে নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ অগাস্ট ২০২৪

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বহনকারী নৌকা ডুবে কক্সবাজারের টেকনাফ সাগরে শিশুসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হয়েছে অন্তত ২২ জন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বেলা ১২ টার পরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া পয়েন্ট এলাকার সাগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে ৮ জন শিশু-কিশোর নারী ও একজন পুরুষ রয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে দুই জনকে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত সবাই রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রাতে টেকনাফ উপকূল থেকে একটি ছোট ট্রলার নিয়ে তারা মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্য রওনা হন। এ সময় কিছু দূর গিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় নারী ও শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। তারা টেকনাফ লেদা রেজিস্ট্রেশন ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছি। তবে তাদের পরিচয় জানতে পারেনি। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো.ওসমান গনি বলেন, সাগরে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় জেলেরা ১০ জন রোহিঙ্গা মৃতদেহ উদ্ধার করা করেছে। যেহেতু বাংলাদেশে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি চলছে। তাই আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিদের কথা বলে মৃতদেহগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, আজ ভোররাতের পর ওপার থেকে মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে মর্টার শেল, শক্তিশালী গ্রেনেড বোমার বিস্ফোরণের শব্দে এ পারের বাড়িঘর কাঁপছে। মিয়ানমারে আরাকান আর্মি ও সে দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন।