নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিকে গুলি করে হত্যা মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মারুফ আহমেদ মনসুরের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার শুনানি শেষে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। এর আগে গত ১৬ আগস্ট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ পূর্বক জামিনের আবেদন করে আসামি। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ।
এর আগে ৫ জুন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদারসহ ৩৩ জনের অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। গত ২০ জুলাই অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মারুফসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলের জন্য ১৭ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।
গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত অপর আসামিরা হলেন- আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল।
২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতি (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীও নিহত হন।
এছাড়া টিপুর গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন। ঐদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে গত ৫ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার ৩৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।