ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ। সেতু না থাকায় ব্যহত হচ্ছে এখানকার শিক্ষা-চিকিৎসা, অর্থনৈতিক কার্যক্রমসহ স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থা। জনপ্রতিনিধিরা দেন একের পর এক আশ্বাস দিলেও তা হয় না বাস্তবায়ন। বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা নিজস্ব অর্থায়নে ওই ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের টাঙ্গন নদীর উপর নির্মাণ করেন নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো।
তবে জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হলেও আকচা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষ এখনো স্বপ্ন দেখছেন টাঙ্গনের তীরে একদিন একটি ব্রিজ নির্মাণ হবে। বদলে যাবে ঝাকুয়াপাড়া, সেনপাড়া, পালপাড়া, বাগপুর, সিংপাড়া, সর্দারপাড়া, চরঙ্গী, দক্ষিণ ও উত্তর বঠিনা গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষের জীবনমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন। তবে পণ্যবাহী কোনো যানবাহন যাতায়াত করতে পারছে না। বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল-মোটরসাইকেল পার হলেও তিন চাকার গাড়ি চলে না।
বর্ষা মৌসুমে নৌকাযোগে নদী পার হতে হয়। আর শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। এতে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা আর রোগীদের নিয়ে স্বজনদের পড়তে হয় বিপাকে। এছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা নারী, রোগী ও কৃষিপণ্য আনা নেয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
স্থানীয়দের দাবি, নির্বাচন আসলে জনপ্রতিনিধিরা শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর দেখা পাওয়া যায় না। বছরের পর বছর শুধু আশ্বাস দিয়ে গেলেও সেতু নির্মাণে কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেননি কেউ। তাই সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে বাঁশের সাঁকোর পরিবর্তে সেতু নির্মাণের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে আকঁচা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শিমলা রানী বলেন, আমরা বারবার প্রতিশ্রুতি শুনে এসেছি। ব্রিজটি নির্মাণে উদ্যোগ নেয়ার কথাও শুনেছি। কিন্তু সেটা বাস্তবে পরিণত হয়নি। আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অবিলম্বে ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস বলেন, সাঁকোটি পরিদর্শন করেছি। এর ওপর দিয়ে বহু মানুষের চলাচল। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। জেলার কয়েকটি ব্রিজের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। একনেকে পাশ হলেই পালপাড়া ব্রিজের কাজ শুরু করতে পারবো।