স্পোর্টস ডেস্ক :
বয়সভিত্তিক ফুটবল হলেও নকআউট পর্বের ম্যাচ যেমন হওয়া দরকার, তার চেয়েও ছিল বেশি কিছু। বলা হচ্ছে ব্রাজিল-পর্তুগাল ম্যাচের কথা। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ অবধি ছিল রোমাঞ্চ। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতেছে পর্তুগাল।
অ্যাসপিরে স্টেডিয়ামে সোমবার (২৪ নভেম্বর) অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে পর্তুগাল-ব্রাজিল। মূল ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। টাইব্রেকারে কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। পেনাল্টি শুটআউটে ৬-৫ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পর্তুগাল।
পর্তুগালের সঙ্গে বল দখলে ব্রাজিলের লড়াইটা হয়েছিল সমানে সমান। ৪৪ শতাংশ বল দখলে রেখে ব্রাজিল প্রতিপক্ষের লক্ষ্য বরাবর নেয় দুই শট। পর্তুগাল বল দখলে রাখে ৫৬ শতাংশ। ব্রাজিলের লক্ষ্য বরাবর পর্তুগিজরা নেয় দুই শট। ৯০ মিনিট শেষে ৬ মিনিট যোগ করার পরও আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে খেলা চলতে থাকে। তবে গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হওয়ায় ফল নির্ধারণে টাইব্রেকারে যেতে হয়।
পেনাল্টিতে শুরুটা করে পর্তুগাল। পর্তুগালের টমাস আলভেস বাঁ পায়ে শট নিয়ে গোল করেন। এরপর ব্রাজিলের ডেল বাঁ পায়ে জোরালো শট নিয়েছেন। পর্তুগাল গোলরক্ষক রোমারিও কুনিয়া ডাইভ দিলেও বল ছিল নাগালের বাইরে। এরপর কা সোজাসুজি শটে পর্তুগালের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন। ব্রাজিলের থিয়াগো গোল করে পেনাল্টিতে ২-২ সমতা করেন।
ব্রাজিল-পর্তুগাল দুই দলই নিজেদের প্রথম চার গোলের চারটিই করতে পেরেছে। তবে পঞ্চম শট তাদের কেউই করতে পারেনি। পর্তুগালের গোলরক্ষক কুনিয়া গোলবারের ওপর দিয়ে শট করেন। ব্রাজিলের গোলরক্ষক রুয়ান পাবলো গোল করতে পারেননি। পর্তুগালের হয়ে ষষ্ঠ শটটি নিয়ে সফল হয়েছেন হোয়াও আরাগাও। এরপর ব্রাজিলের গ্যাব্রিয়েল মেক গোল করলে টাইব্রেকারে ৫-৫ সমতা হয়।
পর্তুগালের হোসে নেতো এরপর গোল করলে ব্রাজিলের চেয়ে ৬-৫ গোলে এগিয়ে যায়। কিন্তু ব্রাজিলের সিকুই বারের ওপর দিয়ে শট করায় এখানেই দলটির পথচলা থেমে যায়। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ইতালিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রিয়া। ২৭ নভেম্বর ফাইনালে মুখোমুখি হবে পর্তুগাল-অস্ট্রিয়া। বাংলাদেশ সময় সেদিন রাত ১০টায় খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে। একই দিন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ব্রাজিল-ইতালি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ।
স্পোর্টস ডেস্ক 

























