Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে জুবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের আরও একজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে বুধবারের ভোরের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে। আহত হয়েছেন শতাধিক।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল (৬৫) ও বেলাল (৬০)। বাচ্চু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে। বেলালের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকায় ও তাইজুল ইসলাম বগুড়া জেলার বাসিন্দা। নিহতরা সবাই তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ী নেজাম) সাথী বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন-আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫) টঙ্গী, খোরশেদ আলম (৫০) বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০), আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫), আ. রউফ (৫৫) মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোররাত তিনটার দিকে সাদপন্থীরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করতে থাকে। এসময় মাঠের ভেতর থেকে জুবায়েরপন্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবে সাদপন্থীরাও পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে সাদপন্থীরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়।

এতে তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি হাবিব ইস্কান্দার বলেন, মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে।

জুবায়ের অনুসারী ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ইজতেমার মাঠে আমাদের ঘুমন্ত সাথীদের ওপর সাদপন্থীদের হামলার তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ী নেজাম) এর সাথী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কারের ভবিষ্যৎ পরবর্তী সংসদের হাতে ছেড়ে দেব না : নাহিদ ইসলাম

টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত বেড়ে ৩

প্রকাশের সময় : ০৩:০৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

টঙ্গীতে ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে জুবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের আরও একজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে বুধবারের ভোরের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে। আহত হয়েছেন শতাধিক।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- বাচ্চু মিয়া (৭০), তাইজুল (৬৫) ও বেলাল (৬০)। বাচ্চু মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামে। বেলালের বাড়ি ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকায় ও তাইজুল ইসলাম বগুড়া জেলার বাসিন্দা। নিহতরা সবাই তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের (শুরায়ী নেজাম) সাথী বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

আহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন-আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫) টঙ্গী, খোরশেদ আলম (৫০) বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০), আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫), আ. রউফ (৫৫) মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোররাত তিনটার দিকে সাদপন্থীরা তুরাগ নদীর পশ্চিম তীর থেকে কামারপাড়া ব্রিজসহ বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশ করতে থাকে। এসময় মাঠের ভেতর থেকে জুবায়েরপন্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। জবাবে সাদপন্থীরাও পাল্টা হামলা চালায়। একপর্যায়ে সাদপন্থীরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়।

এতে তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি হাবিব ইস্কান্দার বলেন, মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহতদের টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কাজ করছে।

জুবায়ের অনুসারী ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, ইজতেমার মাঠে আমাদের ঘুমন্ত সাথীদের ওপর সাদপন্থীদের হামলার তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (শুরায়ী নেজাম) এর সাথী।