Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইগাতীতে বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার

ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি : 

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় থেকে একটি মৃত্যু বন্যহাতি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।

শনিবার (৬ মে) সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া এলাকার নুহু মিয়ার ধানক্ষেত থেকে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গারো পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে ২৫-৩০টি বন্যহাতির একটি দল ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া এলাকার বোরো ধানক্ষেতে নেমে আসে। এ সময় স্থানীয় কৃষকরা মশাল জ্বালিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে শব্দ করে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে বন্য হাতির পাল লোকালয়ে নেমে আসে। হাতিগুলো কৃষকদের ধানক্ষেত নষ্ট করে। শুক্রবার (৫ মে) রাতে একদল বন্য হাতি ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের ধানক্ষেতে নেমে পাকা ধান নষ্ট করে। এরমধ্যে একটি হাতি কাদায় আটকে মারা যায়। শনিবার এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে মৃত হাতিটি উদ্ধার করে বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, হাতিটি পুরুষ, বয়স সাড়ে তিন থেকে চার বছর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফসল বাঁচাতে স্থানীয় কৃষকের দেওয়া বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে হাতিটি মারা গেছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু পরিমাণ বৈদ্যুতিক ও জিআই তার জব্দ করা হয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম ফায়েজুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে হাতিটির দেহে কোনও ধরণের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে (সিডিআইএল) ল্যাবে পরীক্ষার পর হাতিটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গম আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ঝিনাইগাতীতে বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৫:০৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ মে ২০২৩

ঝিনাইগাতী প্রতিনিধি : 

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড় থেকে একটি মৃত্যু বন্যহাতি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।

শনিবার (৬ মে) সকালে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া এলাকার নুহু মিয়ার ধানক্ষেত থেকে হাতিটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গারো পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে ২৫-৩০টি বন্যহাতির একটি দল ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া এলাকার বোরো ধানক্ষেতে নেমে আসে। এ সময় স্থানীয় কৃষকরা মশাল জ্বালিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে শব্দ করে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে খাদ্যের সন্ধানে বন্য হাতির পাল লোকালয়ে নেমে আসে। হাতিগুলো কৃষকদের ধানক্ষেত নষ্ট করে। শুক্রবার (৫ মে) রাতে একদল বন্য হাতি ঝিনাইগাতী উপজেলার পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামের ধানক্ষেতে নেমে পাকা ধান নষ্ট করে। এরমধ্যে একটি হাতি কাদায় আটকে মারা যায়। শনিবার এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে মৃত হাতিটি উদ্ধার করে বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মকরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, হাতিটি পুরুষ, বয়স সাড়ে তিন থেকে চার বছর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ফসল বাঁচাতে স্থানীয় কৃষকের দেওয়া বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে জড়িয়ে হাতিটি মারা গেছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু পরিমাণ বৈদ্যুতিক ও জিআই তার জব্দ করা হয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম ফায়েজুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে হাতিটির দেহে কোনও ধরণের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে (সিডিআইএল) ল্যাবে পরীক্ষার পর হাতিটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।