ঝালকাঠি জেলা প্রতিনিধি :
ঝালকাঠিতে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের উঠান বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান হোসেন খানকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় শহরের কীর্ত্তিপাশা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত অন্যরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এসএম রুহুল আমীন রেজভী, সুলতান হোসেন খানের সমর্থক কেএস জাহিদ, মনির খান, রুবেল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মিলু, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি শফিউল ইসলাম সৈকত, ডিবিসি নিউজের অলোক সাহা ও আমাদের বার্তার প্রতিনিধি কামরুজ্জামান সুইট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কীর্তিপাশা মোড়ে একটি নির্বাচনী পথসভা চলছিল। রাত ৮টার দিকে হঠাৎ করেই প্রতিপক্ষের অনুসারী ছাত্রলীগের ৭০/৮০ জন নেতাকর্মী আমাদের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে মারধর করা হয় সুলতান খানকে। এরপর চেয়ার ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি বেধরক পিটুনি শুরু করে হামলাকারীরা। এতে উপস্থিত সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জনকে আহত করে তারা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশি পাহারায় রক্তাক্ত অবস্থায় সুলতান খানসহ আহতদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আহত মো. সুলতান হোসেন খানের সমর্থক আহত কেএস জাহিদ বলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী খান আরিফুর রহমানের সমর্থক জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করে গাড়ীড়ি ভাঙচুর করে। সুলতান হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়।
তবে আনারস মার্কার প্রার্থী খান আরিফুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, কীর্ত্তিপাশা মোড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সভায় কে বা কারা হামলা করেছে তা আমি কিছুই জানি না। তবে কীর্ত্তিপাশা মোড়ে দোয়াত কলম মার্কার সমর্থকরা আমার আনারস মার্কার অফিস ভাঙচুর করেছে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাইম বলেন, আহত সুলতান হোসেনের বাম সোল্ডারে গুরুতর আঘাত ছাড়াও মাথা ও জয়েন্টে আঘাতের কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে রেফার করা হয়েছে।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. মহিতুল ইসলাম জানান, প্রার্থী সুলতান হোসেন খানের পথসভায় হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আহত হওয়ায় পুলিশের সহায়তা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও হামলাকারীদের সংখ্যা বেশি থাকায় তাদের নিবৃত্ত করা সম্ভব হয়নি।