Dhaka বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেলা বিএনপির সদস্যসচিবের ওপর হামলা, নাটোরে সমাবেশ স্থগিত

নাটোর জেলা প্রতিনিধি : 

নাটোরে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পূর্বনির্ধারিত জনসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে নাটোর শহরের স্টেশন বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন বিএনপি।

জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য দেওয়ান শাহিন বলেন, সোমবার সকাল ৬ টার দিকে সদর উপজেলার পণ্ডিত গ্রাম নিজ বাড়ি থেকে শহরের আলাইপুরে দলীয় কার্যালয়ে আসছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ। পথে স্টেশন বাজার এলাকায় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০ থেকে ২৫ টি মোটরসাইকেলে আসা আওয়ামী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা রহিম নেওয়াজের পথ রোধ করেন। এ সময় সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করা হয়।

এ দিকে এ ঘটনার পর পূর্বনির্ধারিত জনসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম।

সকাল থেকে নাটোর শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়কে লাঠিসোটা নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ঘোরাফেরা দেখা গেছে।

অপরদিকে, দলীয় সদস্যসচিবকে পেটানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতা–কর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেন। তাঁদের বাইরে বের হতে দেখা যায়নি, তবে কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।

তবে আওয়ামী লীগের ১৫ থেকে ২০ কর্মীকে লাঠিসোটা হাতে বিএনপির কার্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে দফায় দফায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।

জেলা বিএনপির সদস্য ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, হত্যার পরিকল্পনা করেই রহিম নেওয়াজের ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি জনসমাবেশ সফল করার জন্য ভোরেই বাড়ি থেকে দলীয় কার্যালয়ে আসছিলেন। তার গতিপথ দুর্বৃত্তদের জানা ছিল। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা এখন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত আছি। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আপাতত জনসমাবেশের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, হামলার সময় আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে ছিলেন না। দলের অভ্যান্তরীণ কোন্দোলের কারণে বিএনপির লোকজনই এ ঘটনা ঘটাতে পারেন। কথিত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি শহরে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইলে তা প্রতিহত করা হবে।

এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিবের ওপর হামলাকারী ব্যক্তিদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে হামলাকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জেলা বিএনপির সদস্যসচিবের ওপর হামলা, নাটোরে সমাবেশ স্থগিত

প্রকাশের সময় : ০২:১৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

নাটোর জেলা প্রতিনিধি : 

নাটোরে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পূর্বনির্ধারিত জনসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

সোমবার (৩১ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে নাটোর শহরের স্টেশন বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন বিএনপি।

জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য দেওয়ান শাহিন বলেন, সোমবার সকাল ৬ টার দিকে সদর উপজেলার পণ্ডিত গ্রাম নিজ বাড়ি থেকে শহরের আলাইপুরে দলীয় কার্যালয়ে আসছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ। পথে স্টেশন বাজার এলাকায় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০ থেকে ২৫ টি মোটরসাইকেলে আসা আওয়ামী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা রহিম নেওয়াজের পথ রোধ করেন। এ সময় সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাকে গুরুতর আহত করা হয়।

এ দিকে এ ঘটনার পর পূর্বনির্ধারিত জনসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম।

সকাল থেকে নাটোর শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনের সড়কে লাঠিসোটা নিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের ঘোরাফেরা দেখা গেছে।

অপরদিকে, দলীয় সদস্যসচিবকে পেটানোর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতা–কর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেন। তাঁদের বাইরে বের হতে দেখা যায়নি, তবে কার্যালয়ের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।

তবে আওয়ামী লীগের ১৫ থেকে ২০ কর্মীকে লাঠিসোটা হাতে বিএনপির কার্যালয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে দফায় দফায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।

জেলা বিএনপির সদস্য ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, হত্যার পরিকল্পনা করেই রহিম নেওয়াজের ওপর হামলা করা হয়েছে। তিনি জনসমাবেশ সফল করার জন্য ভোরেই বাড়ি থেকে দলীয় কার্যালয়ে আসছিলেন। তার গতিপথ দুর্বৃত্তদের জানা ছিল। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা এখন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত আছি। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আপাতত জনসমাবেশের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, হামলার সময় আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে ছিলেন না। দলের অভ্যান্তরীণ কোন্দোলের কারণে বিএনপির লোকজনই এ ঘটনা ঘটাতে পারেন। কথিত এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি শহরে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইলে তা প্রতিহত করা হবে।

এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, জেলা বিএনপির সদস্যসচিবের ওপর হামলাকারী ব্যক্তিদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে হামলাকারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।